আগরতলা, ৫ জানুয়ারি: ২০১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ত্রিপুরায় সমস্ত সশস্ত্র বৈরী দল আত্মসমর্পণ করেছে এবং মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। আজ ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায়মন্ত্রী অমিত শাহ। সাথে তিনি যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উত্তরপূর্বাঞ্চল দ্রুত গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ ২৮০৬ জন মনোনীত প্রার্থীদের চাকুরী প্রদানের মাধ্যমে বিকশিত ত্রিপুরা বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র ও সমবায়মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আজ ত্রিপুরার যুগ পরিবর্তনের দিন। কারণ, বিগত দিনে সিপিআইএমের আমলে বেকারদের চাকুরী পেতে হলে দলের ক্যাডারে নাম লেখাতে হত। তারপরই তাদের চাকুরী দেওয়া হত। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরা বিজেপি সরকার স্বচ্ছতা বজায় রেখে ২৮০৬ জনকে চাকুরী প্রদান করেছে।
এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ত্রিপুরায় শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সমস্ত প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠী আত্মসমর্পণ করেছে, এবং ব্রু শরনার্থী পূর্বে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, এখন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং জীবিকার সুযোগের অ্যাক্সেস সহ পুনর্বাসিত হয়েছে। একসময় বিদ্রোহ, অনুপ্রবেশ, অবরোধ, মাদক এবং অস্ত্র পাচার দ্বারা জর্জরিত ছিল উত্তর পূর্বাঞ্চল। এখন উন্নয়ন, সংযোগ, অবকাঠামো, শিক্ষা, বিনিয়োগ এবং কৃষির জন্য পরিচিত।
ত্রিপুরার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করে, শাহ বলেন, ত্রিপুরা ল্যান্ডলকড থেকে ল্যান্ড-লিঙ্কে রূপান্তরিত হয়েছে। একটি আধুনিক বিমানবন্দর, উন্নত সড়ক যোগাযোগ এবং জল সংরক্ষণের উদ্যোগ দ্রুত উন্নয়নকে চালিত করেছে। তিনি দাবি করেছেন যে বিজেপির সাত বছরের শাসন কংগ্রেস এবং সিপিআইএম শাসনের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিকে ছাড়িয়ে গেছে।
তাঁর কটাক্ষ, বিগত দিনে সরকারি চাকরির জন্য দলীয় সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা একটি স্বচ্ছ, যোগ্যতাভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করেছেন। লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা, কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায়, জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস, সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, শিল্প ও বাণিজ্য রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা ও মুখ্যসচিব জে কে সিনহা। অনুষ্ঠানে ২৮০৬ জনকে অফার অব অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে।
আজ অফার অব অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দপ্তরের ফার্মাসিস্ট (অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ), ল্যাব টেকনেশিয়ান এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে জেআরবিটি কর্তৃক মাল্টি টাস্কিং স্টাফ (এমটিএস) পদে মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে অফার অব অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিতরণ করা হয়েছে।

