আগরতলা, ২৬ জানুয়ারি : আমাদের পূর্বজরা দেশকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যেভাবে কাজ করেছেন, সেভাবেই আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে। আজ নিজের সরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলনের পর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নিজের সরকারি বাসভবনে পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহা। পতাকা উত্তোলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্য তথা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সংবিধানকে মান্যতা দিতে হবে এবং সংবিধানকে বুঝতে হবে। আমাদের পূর্বজরা যেভাবে দেশকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যেভাবে কাজ করেছেন, সেভাবেই আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।
এদিকে, আজ আসাম রাইফেস ময়দানে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু। অনুষ্ঠানে অতিথির আসনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিরোধী দলনেতা সহ আরও অনেকে।
এদিকে, আজ ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিজেপি রাজ্য কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।
আজ সারা দেশের সাথে রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। তারই অঙ্গ হিসাবে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রতন লাল নাথ প্রথমে গান্ধীঘাটস্থিত গান্ধী বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। তারপর লিচুবাগানস্থিত অ্যালবার্ট এক্কা পার্কে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন। ক্রমে তিনি মহাকরণের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রজাতন্ত্র দিবস উৎযাপন করেছেন।
এদিন আগরতলা পুরনিগম অফিসে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়, যেখানে পতাকা উত্তোলন করেন পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার।
আজ ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ধলাই জেলা সদর আমবাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। আজকের এই অনুষ্ঠানে আরক্ষা বাহিনীদের প্যারেডের আয়োজনও করা হয়েছে।
এদিকে, বিশালগড় মহকুমা শাসক কার্যালয়ে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এলাকার বিধায়ক সুশান্ত দেব।
এদিন রাজ্যের অন্যান্য জেলার সাথে যথাযোগ্য মর্যাদায় দক্ষিণ জেলাতে পালিত হয় ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রজাতন্ত্রের দিবসে উপলক্ষ্যে বিলোনিয়া বিদ্যাপিঠ মিনি স্টেডিয়ামে মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ, টিএসআর, মহিলা পুলিশ সহ মোট ছয়টি প্লাটুনের কমান্ডেন্ট।
আজ ধর্মনগর ও কদমতলাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। গোটা দেশ ও রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও উত্তর জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয় ধর্মনগর বিবিআই ময়দানে। এদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন।
এদিন, ঊনকোটি জেলা ভিত্তিক ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হয় কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় মাঠে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহন করেন রাজ্যের সমাজ শিক্ষা সমাজ কল্যাণ ও যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।
এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদায় খোয়াইতেও পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। আজ খোয়াই বিমান বন্দরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
আজ ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এদিন আগরতলা কোর্টে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় প্রায় শতাধিক কচিকাঁচা অংশ নেয়। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মৃণাল কান্তি বিশ্বাস সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
এদিকে, ত্রিপুরা চাইল্ডরাইটস কমিশনের উদ্যোগে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আইজিএম হাসপাতালে শিশুদের মধ্যে ফল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এদিকে, কল্যাণপুর থানা ও কল্যাণপুর আর.ডি ব্লকে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। আজ কল্যাণপুর থানা প্রাঙ্গণে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস মালাকার অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানার সাব-ইন্সপেক্টর দিব্যজ্যোতি মজুমদার, অন্যান্য পুলিশ কর্মী এবং টি.এস.আর বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। থানার কর্মকর্তারা আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
অন্যদিকে, কল্যাণপুর আর.ডি ব্লকেও প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লকের বিডিও হিমেন্দু বিকাশ পাল, এডিশনাল বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান, বি.এস.সি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কল্যাণপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ফল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

