আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি: নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে নেশা ও মাদকের বিরুদ্ধে মোকাবিলায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি জনসংখ্যার অনুপাতে রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত রক্ত মজুত রাখতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর বড়দোয়ালী মধ্যপাড়া এলাকায় নব অঙ্গীকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ১৬তম শিশু মেলা ও স্বেচ্ছা রক্তদান উৎসবের সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমরা সবাই জানি রক্তদান মহৎ দান। রক্তদানের চাইতে ভালো কিছু হতে পারে না। রক্তদান করা নিজের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। রক্তদানের সময়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এরফলে শরীরে রোগ ব্যাধি থাকলে সেটা চিহ্নিত করা যায়। রক্তদানের মাধ্যমে শরীরে নতুন রক্ত তৈরি হয়। একমাত্র রক্তদানের মাধ্যমেই মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১ শতাংশ রক্তের ইউনিট ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত থাকা প্রয়োজন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত রক্ত না থাকলে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসকদের।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যে নেশা বিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যকে নেশা মুক্ত করতে সমাজের প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। নেশার মোকাবিলায় সামাজিক প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে। এধরনের সামাজিক কাজ আমাদের মানসিকতাকে আরো উন্নত করে। মনে রাখতে হবে যে সমাজের জন্য কিছু করতে হবে। তবেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেটর সম্পা সরকার চৌধুরী, শহর দক্ষিণাঞ্চল ক্লাব কমিটির সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী, ক্লাব সভাপতি কিশোর মজুমদার সহ অন্যান্য অতিথিগণ। অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবির পরিদর্শন করে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। এর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ক্লাব কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এলাকায় একটি জিম ও শিশুদের জন্য পার্ক গড়ে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এবিষয়ে আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।