আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি: দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা। এদিন কৈলাসহর সীমান্তে বাংলাদেশের সিলেট ডিভিশনের শরিফপুরে অবৈধ বাঁধ নির্মাণের সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিকট চিঠি দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কৈলাসহরে মনু নদীর দুই পাড়ে দুইটি বাঁধ রয়েছে। ভারতের অংশের বাঁধ ৪০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে ওই বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের বাংলাদেশ সরকার কৈলাসহরের রাঙ্গাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর এলাকায় ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাটাতারের পাশে এমনকি জিরো পয়েন্টের একেবারে পাশে সম্পূর্ন অনৈতিকভাবে উঁচু বাঁধ নির্মাণ করছে। অনৈতিকভাবে উঁচু বাঁধ নির্মাণের ফলে আগামী বর্ষাকালে গোটা কৈলাসহর জলের নীচে চলে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে যদি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে আগামী দিনে কৈলাসহরে ভয়ংকর অবস্থা তৈরি হবে। গতকাল ১৭ জানুয়ারি ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, অতিরিক্ত জেলাশাসক অর্ঘ সাহা সহ প্রশাসনিক একটি দল রাঙ্গাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর এলাকার ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলাশাসক বলেন, বাংলাদেশ সরকার সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে বাঁধ তৈরি করছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সরকার জিরো পয়েন্টের একেবারে পাশে বাঁধ তৈরি করছে। এটা কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশ সরকার করতে পারে না। তাছাড়া, যেভাবে উঁচু করে এবং চওড়া করে বাঁধ নির্মাণ করছে সেটা এভাবে করতে পারে না। এর নির্দিষ্ট গাইড লাইন রয়েছে এবং তা মেনেই করা উচিত ছিল।
আজ দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অবৈধ বাঁধ নির্মাণের সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা।