বহিঃরাজ্যে রপ্তানি রাজ্যে উৎপাদিত ধানি লঙ্কা 

আগরতলা, ১৭ জানুয়ারি: ত্রিপুরায় উৎপাদিত ধানি লঙ্কা রপ্তানি করা হচ্ছে বিশাখাপত্তনমে। আজ  আগরতলা রেল স্টেশনে পতাকা নেড়ে তার সূচনা করেছেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ত্রিপুরায় উৎপাদিত” অর্গানিক বার্ড আই চিলি ” স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি লঙ্কা অথবা ধান্না মরিচ। এই প্রথম রাজ্যে উৎপাদিত দুই হাজার কেজি ধানি লঙ্কা  বহিঃরাজ্যে রপ্তানি করা হলো। এই গুলি পাঠানো হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের  বিশাখাপত্তনমে। এদিন ছিলেন কৃষি দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।এদিন তিনি বলেন,  “এই প্রথমবারের মতো ধান্না মরিচ রপ্তানি করছি। এটি একটি জৈব পণ্য, এবং যদিও এর চাহিদা বেশি।কিন্তু বন্যায় কৃষি ক্ষতির কারণে এই মরসুমে সরবরাহ সীমিত হয়ে পড়েছে।

এদিন মন্ত্রী গত পাঁচ বছরে জৈব চাষে ত্রিপুরার অগ্রগতি তুলে ধরেন। গত পাঁচ বছরে জৈব চাষ ২,০০০ হেক্টর থেকে ২০,০০০ হেক্টরে সম্প্রসারিত হয়েছে।এ বছর আরও ৬,৫০০ হেক্টর বেশি করার পরিকল্পনা রয়েছে। জৈব চাষে নিয়োজিত কৃষকের সংখ্যা ২,৫০০ থেকে বেড়ে ১৯,৯০০ হয়েছে। জৈব চাষের ক্লাস্টার ১৩২ থেকে বেড়ে ৯৪৪ হয়েছে এবং কৃষক উৎপাদক কোম্পানির (FPC) সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে ৪০ হয়েছে, আরও ১৩টি পাইপলাইনে রয়েছে।গোমতি জেলার ছবিমুড়া অর্গানিক ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড, বেঙ্গালুরুর সুস এগ্রি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সহযোগিতায় মরিচ রপ্তানির সুবিধা প্রদান করেছে।

এদিন তিনি আরো বলেন, ধলাই, গোমতী এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলার কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ২০০০ কেজি মরিচের মূল্য ধরা হয়েছে ১১ লক্ষ টাকা। “আমাদের লক্ষ্য হল রাজ্যের বাইরে এবং বিদেশে জৈব পণ্যের ব্যাপক উৎপাদন এবং বিপণন অর্জন করা। তাঁর কথায়, ত্রিপুরার কৃষিক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত, এবং জৈব কৃষিকাজ এই রূপান্তরে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *