আগরতলা, ৪ জানুয়ারি : রাজনগর এলাকার জনগণ এবং রাজনগর প্লে সেন্টারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন বেগম জেসমিন আক্তার। আজ আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সাথে হওয়া নির্যাতনের বিবরণে তুলে ধরেন তিনি। কথা জনগণের সম্মুখে তুলে ধরেছেন।
প্রসঙ্গত, জেসমিন আক্তারকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজনগর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমেও বহুবার এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। জেসমিনকে এলাকা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টায় ছিলেন রাজনগর এলাকার জনগণ।
বেগম জেসমিন আক্তার আজ দুপুরে আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাস ধরে কিছু দুষ্কৃতিকারী দ্বারা তিনি মানসিক ভাবে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে এখন অবধি প্রায় সকল অভিযোগ মিথ্যে ছিল। এলাকাবাসি তাঁকে উচ্ছেদ করার জন্য এইসব করছেন।
তিনি আরো বলেন, রাজনগর প্লে সেন্টার ক্লাবটি জেসমিনের থেকে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে, কারণ তিনি ওই এলাকায় জায়গা ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করে বাস করছিলেন। ৮ বছর আগে তিনি বাড়িটি তৈরি করেছিলেন কিন্তু এর 6 বছর পর জেসমিনের কাছে ওই টাকা চাওয়া হয়েছিল। তাঁকে ক্লাবে ডেকে নিয়ে মারধর করা এবং সাদা কাগজে সাক্ষর নেওয়ার জন্য জোর করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
এদিকে, দশমীঘাট রাজনগর স্থিত জেসমিনের বাড়ির পাশের নয়ন মিয়া, এবং সানু মিয়ার (মুহুরী) বহুবার তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার পাশাপাশি হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিল।
জেসমিন আরো বলেন, তাঁকে মারধর করে ক্লাব ও এলাকার লোকজন মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। যার কারণে তাঁর মাথায় সেলাই লেগেছে, পাশাপাশি মাথার একটা অংশে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে।
এলাকাবাসী এহেন আচরণ সম্পর্কে পশ্চিম থানা ও মহিলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ এসে তাঁর বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজ দেখে গেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী ওই সিসি ক্যামেরা সহ ফুটেজ চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ জানান জেসমিন। তিনি আরও বলেন, তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা এবং স্বর্ণ গয়নাও এলাকার লোকজন নিয়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন তিনি।
জেসমিন আক্তার তাঁর প্রতি হওয়া এই অবিচার ও নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাইছেন। পাশাপাশি তিনি যেন এই এলাকায় শান্তিতে বসবাস করতে পারেন সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিকট উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।