কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর (হি.স.): বাইচুং ভুটিয়া ভারতের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়দের একজনl ভারতীয় প্রাক্তন এই পেশাদার ফুটবলার বিশ্বে ভারতীয় ফুটবল দলকে আলাদা করে পরিচয় করে দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে সুব্রত কাপে তাঁর পারফরমেন্স তাঁকে আলোকিত করে। এখান থেকে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এই প্রতিযোগিতায় তাঁকে সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করা হয়। ১৯৯১ সালে ১৭ বছর বয়সে সিকিম গভর্নরের গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নেওয়ার সময় তাঁকে আরো ভালোভাবে চেনা যায়। তিনি স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন। তাঁকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতীয় ফুটবলের মশাল বাহক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ফুটবলের শুটিং দক্ষতার কারণে সিকিমিজ স্নাইপার ডাকা হয়। ৩ বারের বর্ষসেরা ফুটবলার আইএম বিজয়ন বাইচুং ভুটিয়াকে ভারতীয় ফুটবলের জন্য ‘ঈশ্বরের উপহার’ বলে বর্ণনা করেছেন।
বাইচুং ভুটিয়া ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে সিকিমের একটি ছোট্ট গ্রাম টিংকিটামের কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে বাইচুং ভুটিয়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে বাইচুং বর্ষসেরার খেতাব পেয়েছিলেন। পেশাদার ফুটবলের জন্য, তিনি ১৯৯৯ সালে ইউরোপে পাড়ি জমান।
তিনি ইংলিশ ক্লাব ভরিতে যোগ দেন। বাইচুং ভুটিয়া হলেন প্রথম ভারতীয় ফুটবলার যিনি ইউরোপিয়ান ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। মালয়েশিয়ার ফুটবল ক্লাব পার্কের হয়েও খেলেছেন। প্রায় ৩ বছর বিদেশি ক্লাবে খেলার পর তিনি ভারতে ফিরে আসেন। বাইচুং মূলত মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেছেন।
ভারতীয় ফুটবলে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁর সম্মানে ভুটিয়া নামে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামও রয়েছে। বাইচুং অর্জুন পুরস্কার এবং পদ্মশ্রী–র মত পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন। ২০১০ সালে তিনি দিল্লিতে বাইচুং ভুটিয়া ফুটবল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন। তাঁর বিদায়ী ম্যাচ ছিল ১০ জানুয়ারি ২০১২ দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ।