রাজ্যে সুস্থায়ী কৃষি উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র, কৃষক স্বয়ম্ভর হলে রাজ্য স্বয়ম্ভর হবে : কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর : কৃষক স্বয়ম্ভর হলে রাজ্য স্বয়ম্ভর হবে। রাজ্য স্বয়ম্ভর হলে আমাদের দেশ সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে। কৃষকদের আত্মনির্ভর করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। আজ ধলাই জেলার দুর্গাচৌমুহনী ব্লকের বামনছড়ায় ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন ধান সংরক্ষণ গোদামের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গরীব অংশের মানুষ, কৃষক ও গ্রামকে প্রাধান্য দেওয়া। কৃষি সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাতে কৃষকগণ অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারছেন ও আত্মনির্ভর হচ্ছেন। কৃষি কাজে আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উল্লেখ্য, বামনছড়ায় ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন ধান সংরক্ষণ গোদাম নির্মানে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠান মঞ্চে কৃষিমন্ত্রী ৫ জন কৃষককের হাতে জলসেচের জন্য জলের মোটর তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাচৌমুহনী পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ভানুপ্রতাপ লোধ।

রাজ্যে সুস্থায়ী কৃষি উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই এই লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। আজ ধলাই জেলার সালেমায় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে কৃষি স্বর্ণ সমৃদ্ধি সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। কৃষি স্বর্ণ সমৃদ্ধি সপ্তাহ সূচনার পাশাপাশি এদিন সালেমা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে বিশ্ব মাটি দিবস উদযাপন ও কৃষি উপকরণ বিতরণ কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকরা মাটির উর্বরতা বাড়াতে সঠিক পদ্ধতি গ্রহণ করলে কৃষিক্ষেত্রের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। তাছাড়াও কৃষকরা বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে অভ্যস্ত হলে রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত দেখা দেবে। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী সময়মতো বীজ রূপনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কৃষকদের কল্যাণে সরকার সবসময় পাশে থাকবে।

কৃষি স্বর্ণ সমৃদ্ধি সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে সালেমা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞগণ মাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক চাষাবাদের উপর কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। তাছাড়াও কৃষি বিশেষজ্ঞগণ কৃষকদের উন্নয়নে কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্রের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে ৫০ মেট্রিকটন আলুবীজ, জৈবসার, কিটনাশক ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সালেমা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকাশনার উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুস্মিতা দাস, বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল, বিধায়ক পল দাংশু, নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য প্রদীপ বরণ রায়, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস প্রমুখ।