আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর: উত্তরপূর্বাঞ্চলে লাখপতি দিদির সংখ্যায় ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই পর্যন্ত আসাম শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছে।
লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ডঃ চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি জানিয়েছেন, দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা-জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন (ডিএওয়াই-এনআরএলএম) গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প। গ্রামীণ দরিদ্র মহিলাদের স্বসহায়ক দলে (এস. এইচ. জি) সংগঠিত করার মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে দিল্লি ও চণ্ডীগড় বাদে সারা দেশে এটি বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা, অর্থনৈতিক ভাবে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলা এবং দারিদ্র্যসীমার নীচ থেকে বেড়িয়ে আসা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।
“লাখপতি দিদি” নামে এই প্রকল্পের উদ্যোগ ডি দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা-জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন’র অন্যতম ফসল। স্বসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করার জন্য একটি কাঠামোগত পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা স্থায়ী ভাবে প্রতি বছর ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা আয় করে।
তাঁর কথায়, উত্তরপূর্বাঞ্চলে রাজ্যভিত্তিক লাখ পতি দিদির সংখ্যায় ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ত্রিপুরায় লাখপতি দিদি রয়েছেন ৫৮,৪৯৫ জন, আসামে ৫,১৮,৩৫৯ জন, মেঘালয়ে ৩৯,৯৭৬ জন, মিজোরামে ১৭,১৬৭ জন, মণিপুরে ১৫,৫৫৯ জন, নাগাল্যান্ডে ১২,২৯৪ জন, সিকিমে ৭৭৯৪ জন এবং অরুণাচল প্রদেশে ৫০৫৭ জন।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের নমো ড্রোন দিদি প্রকল্পের লক্ষ্য হল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা-জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন এর আওতায় ১৫ হাজার স্বসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের ড্রোন সরবরাহ করা্র উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে সার সংস্থাগুলি তাদের নিজস্ব সংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে ৫০৩ টি ড্রোন বিতরণ করেছে।
দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা-জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন এর আওতায় ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০.০৫ কোটি মহিলাকে ৯০.৮৭ লক্ষ স্বসহায়ক গোষ্ঠীতে যুক্ত করা হয়েছে। দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা-জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন একটি প্রকল্প যেখানে ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে স্বসহায়ক দলের যোগ্যতা অনুযায়ী অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ করা হয়।
দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা-জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন আওতায় স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতার উপর প্রভাব বোঝার জন্য মন্ত্রক প্রভাব মূল্যায়ন অধ্যয়ন চালু করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় ইন্টারন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর ইমপ্যাক্ট ইভালুয়েশন দ্বারা ২০১৯-২০ সালে এই প্রকল্পের একটি মূল্যায়ন সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
এদিন তিনি প্রকল্পের মূল্যায়ন সমীক্ষার তালিকা প্রকাশ করেছেন, মূলধনের পরিমাণের তুলনায় ১৯% আয় বৃদ্ধি; অনানুষ্ঠানিক ঋণের পরিমাণ ২০% হ্রাস; সঞ্চয় করার পরিমান বৃদ্ধি ২৮%| উন্নত শ্রমশক্তি অংশগ্রহণ-চিকিত্সার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক পেশার রিপোর্ট করা মহিলাদের অনুপাত ৪% বেশি। অন্যান্য প্রকল্পে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি চিকিৎসা পরিবারগুলির দ্বারা গৃহীত সামাজিক প্রকল্পগুলির সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি (২.৮টি প্রকল্পের ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৬.৫% বেশি)।