আগরতলা, ২১ নভেম্বর : পাইতুরবাজারে প্রাচীন একটি বট বৃক্ষ কেটে ফেলাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেশ কিছু দিন যাবতই এই বটবৃক্ষটিকে কেটে ফেলার জন্য চেষ্টা চলছিল।
ঘটনার জানা গিয়েছে, পাইতুরবাজার থেকে সোনামারা মনু নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্তার নির্মান কাজ চলছে। শাসকদলীয় এক ঠিকাদার এই নির্মান কাজের দায়িত্ব রয়েছেন। কিন্তু দেখা যায় কয়েক দিন যাবত বট বৃক্ষটি কেটে ফেলার জন্য ঠিকাদারের শ্রমিকরা গাছের আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। তখন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে এলাকায় বাসিন্দা পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে বাধা দেন। গাছটির নীচে ৩০/৪০বছর ধরে বেশ কয়েক জন্য দোকানী ব্যাবসা বানিজ্য করে আসছে। অস্থায়ী ঘর করে। তাতে গাছের কোন ক্ষক্ষতি তারা করে নি।
পাইতোরবাজার এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাস্তার তৈরীতে এলাকাবাসীর কোন আপত্তি নেই। তবে গাছ কেটে নয়।গাছ রেখেই রাস্তা তৈরী করতে হবে। এদিকে কৈলাশহরের এস ডি এম প্রদীপ সরকার এক লিখিত নির্দেশ জারী করে বলেছেন রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য গাছ কেটে ফেলতে। তিনি গত মাসেই এই নির্দেশ জারি করেন। যদিও নীতিশ দে এই আদেশ মানতে রাজি নয়।
তিনি বলেন, গাছের মালিক বন বিভাগ। তাতে বন বিভাগের সম্মতি নেই বা আদেশ নেই। রাস্তা সম্প্রসারণ করতে শতাব্দী প্রাচীন একটি বট বৃক্ষ কেটে ফেলা এলাকায় মানুষ কোন দোষ ভাবেই মানতে রাজি নয়। এই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মহকুমা প্রশাসন ও পাইতোরবাজারের মানুষ সম্মুখ সমরে।যে কোন সময় পরিস্থিতির অন্য মোড় নিতে পারে। লাগতে পারে রাজনৈতিক রং। এপ্রসঙ্গে মনে এসে যায় বামফ্রন্টের সময়ে বহুমুখী কাস্টম অফিস নির্মান করতে শহরের কাকচান দীঘি সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসন যখন উদ্যোগ নেয়।তখন দীঘির পাড়ে আর কে আইর মাঠের উওরে কয়েকটি বটবৃক্ষ ছিল। সেগুলো কাঁটার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তখন কংগ্রেস দলের বাঁধার ফলে প্রশাসন পিছু হটে।
এদিকে বিধায়ক বীরজিত সিনহা এই প্রসঙ্গ বলেন, পাইতুরবাজারের বটবৃক্ষ রাস্তা এক পাশে রয়েছে। গাছটি রাস্তার কাজে কোন অসুবিধা করছে না। তিনি বলেন গাছটি আমার জম্ম ও আগে র।তাই গাছটি কেটে ফেলতে বিধায়কের ও বাধা আছে। তাছাড়া তিনি বলেন এস ডি এম গাছ কাটতে আদেশ দিতে পারেন না। গাছের মালিক বন বিভাগ। যদিও রাস্তা টি হচ্ছে জাতীয় সড়ক। তাছাড়া প্রসাশন বিধায়কের সাথে গাছের বিষয়ে কোন আলোচনা করেন নি।