আগরতলা, ১৪ নভেম্বর : তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রী ও জনগণের কাছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গৃহীত প্রকল্প ও পরিষেবাগুলির সুবিধা যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মচারীদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তাহলেই তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আজ গোর্খাবস্তিস্থিত জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের কনফারেন্স হলে তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনা সভায় তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন।
পর্যালোচনা সভায় তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, অধিকর্তা জয়ন্ত দে, যুগ্ম অধিকর্তা ভাস্বর ভট্টাচার্য, উপঅধিকর্তা প্রদীপ রিয়াং ছাড়াও জেলা কল্যাণ আধিকারিক, মহকুমা কল্যাণ আধিকারিক, শিক্ষা, পূর্ত, গ্রামোন্নয়ন, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান, মৎস্য ও ট্রেডার আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। পর্যালোচনা সভায় তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী বলেন, তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের কল্যাণে গৃহীত প্রকল্পের সুবিধা যথাযথভাবে রূপায়ণ করতে হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের গৃহীত কর্মসূচির পর্যালোচনা ছাড়াও আগামী অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা রূপায়ণেও দপ্তরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবা তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের জনগণ ও ছাত্রছাত্রীরা সঠিকভাবে পাচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।
পর্যালোচনা সভায় দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবা রূপায়ণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার চিত্র তুলে ধরে দপ্তরের অধিকর্তা জয়ন্ত দে জানান, বাবু জগজীবন রাম ছাত্রাবাস প্রকল্পে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিনোদিনী এসসি গার্লস হোস্টেল, এনসিআই এসসি বয়েজ হোস্টেল, রমেশ এসসি বয়েজ হোস্টেল, শান্তিরবাজার এসসি গার্লস হোস্টেল, নীহারনগর এসসি বয়েজ হোস্টেল এবং ঘিলাতলি এসসি গার্লস হোস্টেল নির্মাণের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় অধিকর্তা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী আদর্শ গ্রাম যোজনায় ৮টি জেলার ৩২টি এসসি অধ্যুষিত গ্রামে পানীয়জল, বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ, রাস্তা সংস্কার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংস্কারে ১৫৯.৫১ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর নবম থেকে দশম শ্রেণির এসসি ৮৭০০ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রিমেট্রিক স্কলারশিপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দরখাস্ত জমা পড়েছে ৩২২০টি। একাদশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত এ প্রকল্পে ২৩,৩০০ জন এসসি ছাত্রছাত্রীকে স্কলারশিপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০৮৬টি দরখাস্ত পাওয়া গেছে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়া ৫৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে অপরিচ্ছন্ন কাজে নিযুক্ত অভিভাবকদের প্রিমেট্রিক স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। ড. বি আর আম্বেদকর স্মৃতি মেধা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ৪৬৬৬ জনকে। এছাড়া কৃতী ১০ জনের মধ্যে মোট ৬ জন ছাত্রছাত্রীকে ড. বি আর আম্বেদকর স্পেশাল মেরিট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে এবছর ৮ জেলার ১৯০ জন বেকার যুবক ও যুবতীকে মোটর ড্রাইভিং, মোবাইল রিপেয়ার, বিউটিশিয়ান ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন হোস্টেলে ১২১ জন শিক্ষককে কোর সাবজেক্টের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে।