রাঁচি, ১৩ নভেম্বর (হি.স.): ঝাড়খণ্ডে শুরু হয়ে গেল বিধানসভা নির্বাচন। বুধবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ, ভোটদান পর্ব চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে, ৯৫০টি স্পর্শকাতর বুথে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। প্রথম দফার ভোটে ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এই দফায় ভাগ্যপরীক্ষা হচ্ছে ৬৮৩ জন প্রার্থীর। মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৭ লক্ষ।
আগামী ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফায় বাকি ৩৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার ভোটে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন (সরাইকেলা), তাঁর পুত্র বাবুলাল (ঘাটশিলা), দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— মধু কোড়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোড়া (জগনাথপুর) এবং অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা)। বিজেপির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পুত্রবধূ পূর্ণিমা। উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস প্রার্থী, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন আইপিএস অজয় কুমার (জামশেদপুর পূর্ব) এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ (লোহারদাগা)।
ঝাড়খণ্ডের ভোটদাতাদের গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটগ্রহণ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ কুমার গাংওয়ার। রাঁচির একটি বুথকেন্দ্রে গিয়ে তিনি ভোট দিয়েছেন। ভোট দেওয়ার পর রাজ্যপাল গাংওয়ার বলেছেন, “আমি জনগণকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। জম্মু ও কাশ্মীরে যেভাবে ভোট হয়েছে, মানুষ বিপুল সংখ্যক ভোট দিয়েছেন। এটাকে উৎসবের মতো পালন করা উচিত।”
রাঁচি থেকে জেএমএম প্রার্থী মহুয়া মাজি বলেছেন, “আমি প্রত্যেকের কাছে, আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। আমি চাই উন্নয়ন হোক। রাঁচিকে রাজধানী বলে মনে হয় না এবং আমি তা রূপান্তর করতে চাই। বিভিন্ন বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে।”