পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মঞ্জুরী এখন কেরালা ও মেঘালয়ের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে

নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর : কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বছর ২০২৪-২৫ চলাকালে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন-এর মঞ্জুরী অনুযায়ী কেরালার গ্রামীণ স্থানীয় কর্তপক্ষ সমূহের জন্য উন্মুক্ত তহবিলের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ২৬৬.৮০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। এই অর্থ ওই রাজ্যের ১৪-টি যথাযোগ্য জেলা পঞ্ছায়েত, ১৫২-টি ব্লক পঞ্চায়েত এবং ৯৪১-টি গ্রাম পঞ্চয়েতের জন্য দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মেঘালয়ের গ্রামীণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সমূহের জন্য অর্থ বছর ২০২১-২২-এর উন্মুক্ত মঞ্জুরীর প্রথম কিস্তি বাবদ ২৭,০০ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে সরকার। প্রদত্ত এই তহবিল সংশ্লিষ্ট রাজ্যটির ৩-টি যথাযোগ্য স্বশাসিত জেলা পরিষদ-এর (খাসি, গারো, জয়ন্তিয়া) সব কয়টির জন্য দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক এবং জল শক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ পানীযজল ও স্বস্থ্যবিধান দপ্তরের মাধ্যমে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন-এর মঞ্জুরী ক্রমে রাজ্যগুলির গ্রামীণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলির জন্য তহবিল প্রদানের মর্মে সুপারিশ করেছে। পরবর্তী পর্যায়ে এই তহবিল অর্থ মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। বরাদ্দকৃত এই মঞ্জুরী প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সুপারিশ করে এবং প্রতি বছরই দুই কিস্তিতে তা দিয়ে দেওয়া হয়।

সংবিধানের একাদশতম তহশিলে উল্লিখিত ঊনতিরিশটি (২৯) বিশেষ বিষয়ের নিরিখে এলাকার সুনির্দিষ্ট চাহিদা মেটানোর জন্য গ্রামীণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলিকে এই উন্মুক্ত মঞ্জুরীর সংস্থান করা হয়। গ্রামীণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলির কর্মীদের বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় সম্পর্কিত খরচ মেটানোর প্রয়োজন ব্যতিরেকে এই মঞ্জুরী অনুমোদন করা হয়ে থাকে। এদিকে, সন্নিবদ্ধ মঞ্জুরী দেওয়া হয় অত্যাবশকীয় পরিষেবাগুলিকে সহায়তা করার জন্য। এই সব পরিষেবার মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে (ক) স্বাস্থ্যবিধান সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়াস এবং খোলা-জায়গায় মলত্যাগ মুক্ত (ওডিএফ) ব্যবস্থার রক্ষণা-বেক্ষণ, গৃহস্থালীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আবৃত করা, মানুষের বর্জ্য পরীক্ষণ, ও মল-মূত্র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এবং (খ) বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও জলের পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ সমূহের পাশাপাশি পানীয় জলের সরবরাহ সুনিশ্চিত করা।

কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চদশ অর্থ কমিশন-এর মঞ্জুরীর সহায়তায় পঞ্চয়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলির ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ স্থানীয় স্ব-প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে শক্তিশালী করে তুলছে । এই সব তহবিল পঞ্চয়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলিকে আরোও বেশি সক্ষম, বিশ্বস্ত ও আত্ম-নির্ভর করে তোলার জন্য ইন্ধন হিসেবে কাজ করছে। আর এই ভাবে গ্রামীণ অঞ্চলগুলি জুড়ে টেকসই উন্নয়নের ধারা তড়িৎ গতিতি এগিয়ে চলেছে। এই সামগ্রিক প্রয়াসটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’-এর দিকদর্শনের সঙ্গে সাযুজ্য বজায় রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি সব্যব্যাপী প্রবৃদ্ধি ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্তকে উৎসাহিত করে চলেছে । তা ছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়নের কর্মকাঠামোর অন্তর্গত আবশ্যিক স্তম্ভ রূপে পঞ্চয়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান ও গ্রামীণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলিকে শক্তিশালি ও সুগঠিত করে তুলছে যা ‘বিকশিত ভারত’-এর দিকদর্শনের প্রতি অতুলনীয় অবদান রাখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *