দুর্গাপুর, ২৫ অক্টোবর (হি.স.): বিশেষ অ্যাপ খুলে টুর ও ট্র্যাভেলসে অ্যাসকর্ট সার্ভিসের আড়ালে যৌনচক্রের ফাঁদ! তারপর মোবাইলে যৌনমিলনের ছবি পাঠিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’। এভাবেই যৌনচক্রের ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল। শেষপর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল চক্রে দুই পান্ডা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসা থানার আড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম বিষ্ণুদেব প্রসাদ ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগের বাসিন্দা ও কুন্দন মন্ডল ঝাড়খন্ডের গিরিডির বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ১২ টি সিমকার্ড, একই ব্যাক্তির তিনটি ভুয়ো আধার কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন ও ছ’ টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে, বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনায় জানা গেছে, বছর কয়েক ধরে কাঁকসা থানার আড়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘাঁটি করে ছিল ওই যুবকরা। সেখান থেকেই টুর ও ট্র্যাভেলেসর অ্যাপ খুলে ভ্রমন পিপাসুদের টার্গেট করত ওই চক্রটি। তারপর মহিলার সঙ্গে যৌনমিলনের ছবির সঙ্গে ট্যাগ করে চলত ব্ল্যাকমেল। তার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতাতো ওই চক্র। ওই ফাঁদের বলি হয়ে অনেকে সর্বসান্ত হয়েছে। মাস কয়েক আগে কাঁকসার মলানদীঘি ফাঁড়িতে এরকমই একটি অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার বিকালে কাঁকসার বামুনাড়া এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, সাইবার অপরাধচক্র এরাজ্যের দুর্গাপুর, কাঁকসা এলাকায় কি নিরাপদ ঘাঁটি করছে? প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতে দুর্গাপুর শহরের প্রানকেন্দ্র সিটিসেন্টারে ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে ভুয়ো কল সেন্টারের অভিযোগ উঠেছিল। এবং সেখান থেকে অ্যান্টি ভাইরাস সংস্থার পরিচয় দিয়ে সুদূর আমেরিকাবাসীকে প্রযুক্তি সহায়তার নামে প্রতারনার চক্র চালাতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ১৩ জনকে গ্রেফতার করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার পুলিশ। তাদের কাছে উদ্ধার হয় ১২ টি ল্যাপটপ, ১৩ টি মোবাইল, ও ৫ হেডফোন। তারপর এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিল্পাঞ্চলজুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, “ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই চক্রের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
2024-10-25