নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর : উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর বুধবার বলেছেন ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের উন্নয়নের রাডারে রয়েছে’। তিনি দৃঢ়তার সাথে এও বলেন যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল জাতির ঐক্য, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক সারবত্তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে আমাদের দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে আখ্যা দিয়ে দিয়ে শ্রী ধনকর লুক ইস্ট এবং অ্যাক্ট ইস্ট নীতির প্রশংসা করে বলেন যে এর ফলে এই অঞ্চলের বিমানবন্দরগুলির যোগাযোগ মানচিত্রের সংযোগ এবং বিকাশের ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
অজ্ঞতা এবং অসচেতন বক্তব্য সম্পর্কের দিক উল্লেখ করে এব্যাপারে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, জনপরিসরের প্ল্যাটফর্মে ভিত্তিহীন তথ্যের অবাধ প্রবাহের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে । তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন যে, রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের মৌলিক দায়বদ্ধতার দিকে দৃকপাত না করে আলগাভাবে কামান দাগতে পারিনা। তিনি বলেন যে ভারতের অগ্রগতি উর্দ্ধগামী এবং দেশ অবিভাজ্য এবং এব্যাপারে তরুণরা অবগত হচ্ছে বলেই তিনি দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে বিকশিত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ভারতের পদযাত্রায় তরুণরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী এবং উল্লেখযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করে শ্রী ধনকর তরুণদের অনেক উৎসাহ দেন।
বুধবার শিলংয়ে মেঘালয় স্কিল অ্যান্ড ইনোভেশন হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন যে দক্ষতা আবিষ্কৃত বা উদ্ভাবিত কিছু নয়; এটি আসলে কোনো এক নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতিভার সর্বোত্তম ব্যবহার, যা মানব সম্পদকে গুণগত ভাবে অত্যাধুনিক করে তোলে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে দক্ষতা আর একটি গুণ নয়, এটি আমাদের প্রয়োজন।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রকের একটি নিবেদিত মন্ত্রক হয়ে ওঠা এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ৫ লক্ষ তরুণ ছেলে-মেয়ের ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা প্রদানের জন্য ৬০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বিশেষভাবে তিনি তুলে ধরে বলেন, গ্রাম ও আধা-শহুরে শহরগুলি অবশ্যই দক্ষতা কেন্দ্রগুলির কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে।
এই অনুষ্ঠানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল সি.এইচ. বিজয়শঙ্কর, মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাঙ্গমা, রাজ্যের মন্ত্রী ডা. মাজেল আম্পারিন লিংডো, মুখ্যসচিব ডোনাল্ড ফিলিপস ওয়াহলাং এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।