BRAKING NEWS

৭ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিশ্রামগঞ্জ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ অক্টোবর: শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে ব্যাপক স্তরে কাজ করছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এই লক্ষ্য নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আধুনিক ভবন ও শিক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামো নির্মাণে ক্রমাগত কাজ করছে সরকার। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের ভালো পড়াশোনা করার পাশাপাশি শরীরচর্চা, খেলাধুলা সহ সামাজিক কর্মকান্ড এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। 

 শনিবার তেলেঙ্গানা প্রদেশের রাজ্যপাল যিষ্ণু দেববর্মার উপস্থিতিতে সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের দ্বারোদঘাটন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ১৯৪৬ সালে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। এই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল যিষ্ণু দেববর্মার ভুয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

                                 বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে উন্নত শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীদের কাছেও শহরের মতো শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও গুণগত শিক্ষার প্রসারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। 

                               মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ভালোভাবে পড়াশোনা যেমন করতে হবে তেমনি শরীরচর্চা, খেলাধুলা, যোগাচর্চা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের যুক্ত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সমাজ সেবামূলক কাজের সঙ্গেও নিজেদের যুক্ত রাখতে হবে। ডাঃ সাহা বলেন, মনে রাখতে হবে বাস্তব জীবনে পড়াশুনায় যেমন ভালো ফল করতে হবে, তেমনি আদর্শ মানুষ হিসেবেও নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। রাজ্যে শিক্ষা পরিকাঠামোর এবং ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ সুবিধার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সুপার ৩০, মুখ্যমন্ত্রী ম্যারিট অ্যাওয়ার্ড, ভিশন মুকুল, বিদ্যাসেতু সহ নানা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।

                 ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৩০ বছর বাদে দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি (ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি) প্রণয়ন করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার ৩০০ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় উৎসাহিত করতে তাদের বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা এবং পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

                অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজ্যপাল যিষ্ণু দেববর্মা। তিনি এই বহু প্রাচীন বিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক সুবোধ দেববর্মা, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক এন সি শর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ। প্রায় ১৩০০ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে এগিয়ে চলা এই সুপ্রাচীণ বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *