BRAKING NEWS

কেন্দ্রে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার ১০০ দিনে মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে অবহিত করলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু

নয়াদিল্লি, ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৪: ‘লোক সম্বর্ধন পর্ব’: কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের অধীন এনএমডিএফসি দ্বারা আয়োজিত ১০০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে ‘লোক সম্বর্ধন পর্ব’-এর উদ্বোধন করেন। মন্ত্রকের যাবতীয় প্রকল্প, কর্মসূচী এবং সাফল্যগুলি প্রদর্শন করার জন্য এবং এর বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে অংশীদার সংস্থাগুলির সাথে একত্রে গৃহীত কর্মসূচী  এবং সাফল্যের দিকগুলো  তুলে ধরার জন্য লোক সম্বর্ধন  পর্বের আয়োজন করা হয় । জাতীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ নিগমের (এনএমডিএফসি) ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ২.৫ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীকে ১০০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়ার জন্য একটি ঋণ পরিকল্পনাও মন্ত্রী কিরেন রিজিজু  প্রকাশ করেছেন।

এনএমডিএফসি এবং ইন্ডিয়ান ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং পাঞ্জাব গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যে এই  সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধিত্বকারী ক্ষেত্রগুলিতে ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে  সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী, গত ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই তারিখে কার্গিলে  সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়  কর্মসূচীতে অংশ নেন। এর উদ্যোগ নেয় ন্যাশনাল মাইনরিটিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন (এনএমডিএফসি) এর সহযোগিতায় জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ফিনান্স কর্পোরেশন (জেকেএলএফসি)।  

অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তাদানের   মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। সিন্ধু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে (সিডকো) ১০ কোটি টাকা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য জেকেএলএফসি-কে ২১.০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

# পিএম বিকাশের সূচনা:

“প্রধানমন্ত্রী বিরাসত কা সম্বর্ধন” (পিএম বিকাশ) সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের একটি সমন্বিত প্রকল্প যা তার পাঁচটি পূর্ববর্তী প্রকল্প যেমন শিখো অউর কামাও, ইউএসটিটিএডি, নই  মঞ্জিল, নই রোশনি এবং হামারি ধারোহরকে একত্রিত করে। প্রধানমন্ত্রী বিকাশ প্রকল্পটি বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে লক্ষ্যে  করে করা হয়েছে,  যার মধ্যে রয়েছে:

আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী উভয় ক্ষেত্রে কাজের  দক্ষতা বিকাশের প্রশিক্ষণ প্রদান; কারিগরদের জন্য দক্ষতা  বৃদ্ধি কর্মশালার আয়োজন করা; সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (আইসিএইচ) সংরক্ষণ করা; সংখ্যালঘু মহিলাদের নেতৃত্ব প্রদানে  উৎসাহিত করা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য প্রচার করা; ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস) এর মাধ্যমে সংখ্যালঘু যুবকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধিতে  সহায়তা;  মন্ত্রকের পিএমজেভিকে প্রকল্পের সাথে একত্রিত হয়ে অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তাগুলো মোকাবেলা করা।

এছাড়াও,এই প্রকল্পটি ন্যাশনাল মাইনরিটিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন (এনএমডিএফসি)দ্বারা প্রদত্ত ঋণ কর্মসূচির সাথে সুবিধাভোগীদের সংযুক্ত করা গেলে  ঋণ পেতে সহজতর হবে। ইপিসিএইচ (এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল ফর হ্যান্ডিক্র্যাফটস)-এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বাজার পেতে সহায়তা করা হবে। 

# হজ সুবিধা অ্যাপের সূচনা:

২০২৪ সালের হজ ব্যবস্থাপনায় গেম চেঞ্জার:

তীর্থযাত্রীদের প্রশিক্ষণের সামগ্রী, বাসস্থান এবং ফ্লাইটের বিবরণ, লাগেজ সম্পর্কিত তথ্য, একটি জরুরি হেল্পলাইন (এসওএস), অভিযোগ নিষ্পত্তি, প্রতিক্রিয়া, ভাষার অনুবাদ এবং তীর্থযাত্রা সম্পর্কিত বিবিধ তথ্য ও পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস সরবরাহ করা এবং সৌদি আরবে ভারতীয় প্রশাসন দ্বারা তীর্থযাত্রীদের আরও ভাল সুবিধা দান ও সমন্বয় সাধনে গুরুত্ব। অভিযোগ নিষ্পত্তি ও তথ্য প্রচারে এবং প্রশাসনের কাছ থেকে আরও সুসংহত প্রতিক্রিয়া পেতে ব্যবস্থাপনা দুর্দান্ত করা হয়েছে। ২০২৫ সালের হজের জন্য অ্যাপটিতে ইচ্ছুক  তীর্থযাত্রীদের আবেদন প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে অ্যাপটি তীর্থযাত্রীদের জন্য ডিজিটাল সমস্যা  সমাধানের  লক্ষ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হজ প্রশাসনের সাথে ভারত ও সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা উন্নত করার জন্য সৌদি আরবে দ্বিপাক্ষিক সফরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

# দর্গাহ খাজা সাহেব, আজমিরের জন্য উরস পরিচালনার জন্য অপারেশনাল ম্যানুয়াল প্রস্তুতকরণ: খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির উরস  একটি জটিল লজিস্টিক ইভেন্ট।  যা দর্গা কমিটি, জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন  এবং সাধারণ জনগণের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে   সফল ভাবে সংগঠতিত হয়।

# দর্গা খাজা সাহেব, আজমিরের তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার:

সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক দর্গা খাজা সাহেবের জন্য একটি ডিকেএস সুবিধা মোবাইল অ্যাপ এবং একটি ওয়েব পোর্টালও তৈরি করেছে। এই ওয়েব পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি আজমির ভ্রমণে অক্ষম দেশের দূরবর্তী কোণ থেকে তীর্থযাত্রীদের দর্গার ক্রিয়াকলাপে অংশ নিতে এবং খাজা গরিব নওয়াজের উষ্ণতা এবং আশীর্বাদ অনুভব করার অনুমতি দেবে।

জিও পার্সি ওয়েব পোর্টালের সূচনা:

২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী “জিও পার্সি স্কিম পোর্টাল” চালু করেন। এই পোর্টালটি তাদের অনলাইনে আবেদন করতে, তাদের আবেদনের অবস্থা  পরীক্ষা করতে এবং ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) মোডের মাধ্যমে অনলাইনে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করতে সুবিধা পাবেন।

# সংখ্যালঘুদের মধ্যেপ যারা সংখ্যালঘু তাদের  লক্ষ্য করে সার্কিট ভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করা:

এমওএমএ সংখ্যালঘুদের বিশেষত পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন, শিখদের মধ্যে যারা,আরও সংখ্যালঘু তাদের সংখ্যা  বৃদ্ধির জন্য একটি সার্কিট-ভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং জৈন, শিখ এবং পার্সি সম্প্রদায়ের জন্য প্রকল্পগুলি গৃহীত  ও অনুমোদিত হয়েছে, যার পরিমাণ ৪০১.৩৭ কোটি টাকা।

# কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে অঙ্গনওয়াড়ি:

প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রেও পিএমজেভিকে তার দৃষ্টিভঙ্গি বাড়িয়েছে। এখন এই প্রকল্পে নাগরিক পরিকাঠামো ছাড়াও ডিজিটাল পরিকাঠামোকেও এর আওতায় আনা হয়েছে। এর অংশ হিসাবে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য অব্যাহত আর্থিক সহায়তার সাথে, এমওএমএ তার পিএমজেভিকে-র অধীনে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী নিশ্চিত করে এনআইটি জলন্ধরে ফাইভ জি এবং সাইবার সুরক্ষা ল্যাবগুলির মাধ্যমে এআই বাড়ানোর জন্য ১০০ % অর্থ প্রদানের জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

গতি শক্তি পোর্টালের সাথে একীকরণ:

এই ১০০ দিনে  ডিজিটালাইজড স্কিম প্রক্রিয়া এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্রকে শক্তিশালী করার দিকেও মনোনিবেশ করা হয়েছে। পিএমজেভিকে-র অধীনে, তহবিলের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে, এমওএমএ এই প্রকল্পের আওতায় অনগ্রসর অঞ্চলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পিএম গতিশক্তি পোর্টাল ব্যবহার করা শুরু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি পোর্টালে এই ইউনিটগুলির উপস্থিতি ছাড়াও এই প্রকল্পটি ইসরো / এনআরএসসির ভুবন পোর্টালে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে তার সমস্ত অবকাঠামো ইউনিটের জিও-ট্যাগিংয়ের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিজিটাইজেশন উদ্যোগের ধারাবাহিকতায়, সামগ্রিক ডিজিটাইজড অনুমোদন প্রক্রিয়ার জন্য নতুন পিএমজেভিকে ওয়েব-পোর্টালও তৈরি করা হচ্ছে।

সংখ্যালঘু ভাষার জন্য ভাষিনী প্রযুক্তির প্রয়োগ :

সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক সংখ্যালঘুদের ভাষার জন্য ভাষিনী উদ্যোগকে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একীভূত করেছে। এই ওয়েব পোর্টালে দেখা যাবে।ভাসিনী প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অনুবাদ অন্তর্ভুক্ত করে, মন্ত্রণালয় তার পরিষেবা এবং তথ্যে বহুভাষিক অ্যাক্সেস সরবরাহ করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে।এটা নিশ্চিত করে যে বিভিন্ন ভাষার  নাগরিকরা সহজেই নেভিগেট করতে পারে এবং সরকারী প্রোগ্রামগুলির সাথে যুক্ত হতে পারে। এই বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করে  এবং সকল সম্প্রদায়ের জন্য সম্পদের সমান প্রবেশাধিকার দিতে  সরকারের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *