আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর : রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যায় সমবায় দপ্তরের মোট ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির তাৎক্ষণিক হিসেব নির্ধারণ করে রাজ্য সরকারের ত্রাণ পুনর্বাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ আগরতলা প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সমবায় দপ্তরের রেজিস্ট্রার দশরথ দেববর্মা এ সংবাদ জানান।
তিনি জানান, সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের সমবায় দপ্তরের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমাস্তরের অফিসগুলি সহ সমবায় সমিতিগুলি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোমতী জেলা এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার অন্তর্গত সমবায় ক্ষেত্রে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৭ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে পূর্ব বকাফা প্যাক্সের দুটো ন্যায্যমূল্যের দোকান, পল্লী উন্নয়ন প্যাক্স, লাউগাঙ্গ প্যাক্সের অফিস সামগ্রী, সমাজকল্যাণ প্যাক্সের গোডাউন, সাবুম প্রাথমিক বিপণন সমবায় সমিতি, নিহার কমল প্যাক্স, মুহুরীপুর প্যাক্স সমূহের অফিস ঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গোমতী জেলায় অমরপুরস্থিত সহনিয়ামকের কার্যালয়টি বন্যার জলে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। ফলে অফিসের বিভিন্ন সামগ্রী এবং কম্পিউটার সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, গোমতী জেলায় সমবায় ক্ষেত্রে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮৩ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে পিত্রা প্যাক্স, হীরাপুর প্যাক্স, চেলাগাঙ্গ ল্যাম্পস, বামপুর ল্যাম্পস এবং অমরপুর প্রাথমিক বিপণন সমবায় সমিতির অফিস সহ গুদামঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও সিপাহীজলা জেলায় সমবায় ক্ষেত্রে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪৬ লক্ষ টাকা, ধলাই জেলায় ৩৭ লক্ষ টাকা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩২ লক্ষ টাকা। বন্যায় সৃষ্ট নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ত্রিপুরার ২৬৮টি ল্যাম্পস প্যাক্স তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে বলে রেজিস্ট্রার শ্রী দেববর্মা সাংবাদিকদের জানান।