আগরতলা, ১০ সেপ্টেম্বর : আইজিএম হাসপাতালের ঐতিহ্য ভবন সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য হাসপাতালের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন ভবনের রেট্রোফিটিংয়ের কাজ হাতে নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ ও পুষ্পবন্ত প্রাসাদের মতো করেই এই ঐতিহ্যবাহী ভবনের সংরক্ষণের কাজ করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮৭৩ সালে মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুরের উদ্যোগে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ব্রিটিশ সরকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রাজন্য শাসকদের আর্থিক অনুদান নিয়ে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে বিভিন্ন স্মৃতিশৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তখনকার ত্রিপুরার মহারাজা রাধাকিশোর মাণিক্য বাহাদুর এই হাসপাতালের সংস্কার সাধন ও পরিবর্ধন করে সাধারণ রোগীর জন্য শয্যা সংখ্যা ৫৪টি ও সংক্রামক রোগীদের জন্য ১০ শয্যার ব্যবস্থা করেন এবং এই হাসপাতালের নামকরণ করেন ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল’। মূল ভবনের চূড়ায় এই নামটি খোদিত হয় এবং তৎকালীন বাংলার ব্রিটিশ লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার জন উডবার্ন এই নবরূপে পরিবর্ধিত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালের উদ্বোধন করেন ১৯০৪ সালে। পরবর্তীকালে ১৯৯০ সালে এই নাম পরিবর্তন করে হাসপাতালের নাম রাখা হয় ‘ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল।’
বর্তমানে ৬০৮ শয্যাবিশিষ্ট আইজিএম হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসার মোটামুটি সব সুবিধাই রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১২০০-১৫০০ জন রোগী এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে আসেন। তাছাড়াও এই হাসপাতালে আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজ, সরকারি নার্সিং কলেজ চলছে, পোস্ট এমবিবিএস, এনবিইএমএস কোর্স পড়ার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন প্যারা মেডিক্যাল ও কমিউনিটি হেলথ অফিসিয়ালদের প্রশিক্ষণেরও সুযোগ রয়েছে।