দুই বছর আট মাসে ১১,৪৬০টি গাছ কাটা হয়েছে, বিধানসভায় তথ্য

আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর: ত্রিপুরা জুড়ে জাতীয় সড়ক প্রশস্ত করার সুবিধার্থে গত দুই বছর আট মাসে মোট ১১,৪৬০টি গাছ কাটা হয়েছে। আজ বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে একথা জানিয়েছেন বনমন্ত্রী অনিমেশ দেববর্মা। 

কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের প্রশ্নের জবাবে শ্রী দেববর্মা বলেন, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক বন সংরক্ষণ বিভাগ দ্বারা একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী বন সংরক্ষণের ১৯৮০ ধারার অধীনে রৈখিক প্রকল্পের জন্য সরানো বনভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার পদ্ধতিকে সহজ করে। ত্রিপুরা রাজ্য এই নির্দেশিকাগুলি মেনে চলছে।

এদিন শ্রী রায় বর্মন ভবিষ্যতে মহাসড়ক সম্প্রসারণের জন্য, বিশেষ করে চম্পকনগর থেকে হাতাই কাটার (পূর্বে বড়মুড়া) পাহাড় পর্যন্ত কতগুলি গাছ কাটা হবে সে বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়েছিলেন। তার জবাবে মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, “বন বিভাগ গাছ কাটতে চায় না। আমরা গাছ রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে সুষম উন্নয়ন করতে হবে। হাইওয়ে সম্প্রসারণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছে, এবং কিছু নিয়ম-কানুনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষকে গাছ কাটতে হবে।পরিবেশগত প্রভাব তুলে ধরে শ্রী দেববর্মা বলেন, শীত মৌসুমে রাজ্যের নদীগুলি শুকিয়ে যাবে। 

এদিন শ্রী রায় বর্মন উদ্বেগ প্রকাশ করল বলেন, যে বন ধ্বংসের ফলে হাওড়া নদী শুকিয়ে যেতে পারে। পরিবেশ বাঁচাতে বড়মুড়া রেঞ্জে আরও পুরনো গাছ কাটা এড়াতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রতন লাল নাথ সরকারী উদ্যোগের উপর আলোকপাত করে বলেন, “পরিকল্পনা ও সমন্বয় বিভাগ নতুন নিয়ম তৈরি করেছে। একটি গাছ কাটা হলে, নতুন রাস্তা ও ভবন নির্মাণের জন্য ১০টি গাছ লাগাতে হবে।পাশাপাশি, মন্ত্রী দেববর্মা উল্লেখ করেন, ৫ জুলাই একদিনে পাঁচ লক্ষ গাছ লাগানো হয়েছে, এবং আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আরও ৭৬ লক্ষ গাছ লাগানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *