হাফলং (অসম), ৩১ আগস্ট (হি.স.) : দেশ-বিদেশের পর্যটকের কাছে অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের জাটিঙ্গা এক পরিচিত নাম। জাটিঙ্গায় দেশ-বিদেশ থেকে পরিযায়ী পাখি এসে আত্মহত্যা করে, এমনটাই জানেন সকলে। তবে কি সত্যি জাটিঙ্গায় এসে পাখিরা আত্মহত্যা করে, আজ পর্যন্ত কোনও বিশেষজ্ঞ এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি।
প্রতি বছর আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত জাটিঙ্গায় দেশ-বিদেশের পরিযায়ী পাখি আসতে থাকে। এবারও আগস্ট মাস থেকেই পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে জাটিঙ্গায়। বিশেষ করে জাটিঙ্গা এবং দহিং গ্রাম এখন দেশ-বিদেশের পরিযায়ী পাখির আস্তানা।
তাই এখন এ সব পরিযায়ী পাখিদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বা কেউ যাতে তাদের শিকার করতে না পারে, তার জন্য বনরক্ষী বাহিনী দিনরাত টহলদারী করছে। ইতোমধ্যে ডিমা হাসাও জেলার বন বিভাগের পশ্চিম সংমণ্ডলের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।
তার পরই ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসক সীমান্তকুমার দাস পরিযায়ী পাখিদের সুরক্ষার বিষয় সুনিশ্চিত করতে জাটিঙ্গা এবং দহিং গ্রামে ১২৩ বিএনএস অধীনে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এ বছরও জাটিঙ্গা এবং দহিং গ্রামে দেশ-বিদেশের পরিযায়ী পাখির আগমন শুরু হয়ে গেছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত পরিযায়ী পাখিরা এখানে আসবে। তাই জাটিঙ্গা এবং দহিং গ্রামে পাখি ধরা বা শিকার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সীমান্তকুমার দাস তাঁর নির্দেশিকায় লিখেছেন, কেউ যদি এই নির্দেশ অমান্য করে, তা-হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।