গুয়াহাটি, ২৯ আগস্ট (হি.স.) : ধ্বনীভোটে অসম বিধানসভায় পাস হয়ে গেছে ‘আসাম ল্যান্ড অ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশন (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। এই বিলের লক্ষ্য হেরিটেজ সাইটগুলিকে সুরক্ষিত রাখা।
বিলটি আসাম ল্যান্ড অ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৮৮৬-এর চ্যাপ্টার ১২ প্রবর্তন করে। এর ফলে সরকারকে ২৫০ বছরের বেশি পুরনো স্থাপত্য এবং তার চারপাশে একটি ‘হেরিটেজ বেল্ট এবং ব্লক’ গঠন করা যাবে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যাঁরা কমপক্ষে তিন প্রজন্ম ধরে বসবাস করছেন তাঁদের জমি লেনদেন প্রক্রিয়াকে রেস্ট্রিকটেড করবে।
বিধানসভায় বিলটিকে সমর্থন করার জন্য বিধায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, এই বিলের একমাত্র লক্ষ্য মন্দির, নামঘর এবং সত্রের মতো সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ককে সংরক্ষণ করা।
প্ৰসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য হলো অসমের আদি বাসিন্দাদের পরিচয় রক্ষা করা। কেননা, একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের ফলে রাজ্যের আদি বাসিন্দাপা হুমকির মুখে এসে দাঁড়িয়েছেন। আইকনিক জায়গায় জমি হস্তান্তর রোধ করতে, তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতিদের জমি সংরক্ষণ করতে এবং ক্ষুদ্র-উপজাতি বেল্টের বিধানগুলি বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী আইন প্রবর্তনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
সেদিন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা বলেছিলেন, ‘আমি জানি, অসমে জনসংখ্যার পরিবর্তন হচ্ছে। জনসংখ্যার এই পরিবর্তনের ফলে অসমের আদি বাসিন্দাদের আজ এক অসুরক্ষিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। অবিভক্ত গোলপাড়া জেলার আদি বাসিন্দা ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতিদের জমি বিক্রি যাতে কোনও অবস্থাতেই অন্য সম্প্রদায়ের কাছে যেতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমি আগামী দিনে বেশ কিছু নতুন প্রচেষ্টা করতে চাই, আমরা একটি কঠোর আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত কোচ-রাজবংশী, বড়ো এবং রাভাদের জমির অধিকার রক্ষা করবে।’