নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার, ২৩ আগস্ট: শান্তিরবাজার মহকুমার কাঞ্চননগর সেল্টার হাউজ পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রবল বর্ষার জলে প্লাবিত লোকজনদের রক্ষনার্থে শান্তিরবাজার মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে সেল্টার হাউজ খোলা হয়েছে। যার মধ্যে শান্তিরবাজার মহকুমার কাঞ্চননগর স্কুলে একটি সেল্টার হাউজ খোলা হয়। এই সেল্টার হাউজে ৮১ পরিবারের ৩০৫জন সদস্য রয়েছে।
শুক্রবার কাঞ্চননগর স্কুলের সেল্টার হাউজ পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা। আজকের পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, শান্তির বাজার পুরপরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা জেলা পরিষদের ৭ নং আসনের জয়ী প্রার্থী নিতিশ দেবনাথ ওরফে সুমন দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।
আজকের পরিদর্শনে সেল্টার হাউজে থাকা লোকজনদের সঙ্গে কথাবললেন মুখ্যমন্ত্রী। সেল্টাের হাউজে রান্নার ব্যাবস্থা ও খাবারের গুনগতমান জাচাইকরলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সেল্টার হাউজে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গেও কথাবলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকের পরিদর্শনে সবচেয়ে নজরকারা আলোচ্য বিষয় হয়ে দাড়ালো শান্তিরবাজার মহকুমা শাসককে নিয়ে।
লোকজনেরা যখন জল প্লাবনে দিশেহারা সেই সময় লোকজনের দুঃখ দুর্দশা কেমেরা বন্ধীকরতে একজন ভিডিওগ্রাফার সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন শান্তির বাজার মহকুমাশাসক। মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে লোকজনেরা কিভাবে জলের তলায় গিয়ে পৌঁছছে তা পরবর্তী সময়েদেখে অফসর বিনোদনের এইধরনের কর্মসূচী বলে তীব্র গুঞ্জন চলছে।
যে অর্থ ব্যায় করে ভিডিও ক্যামেরা করা হচ্ছে সেই অর্থব্যায়করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদের মুখে দু মোঠো অন্নতুলে দেওয়া যেতো বলে দাবী করছেন সাধারন লোকজনেরা। জানা যায় বিগত কয়েকদিন তিনি ভিডিও গ্রাফারকে সঙ্গে নিয়ে চলছেন। কাঞ্চননগর স্কুলে সেল্টার হাউজ পরিদর্শন করে শান্তিরবাজার পূর্ত দপ্তরের ডাকবাংলোয় এসে কিছুসময় আলোচনায় মিলিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলোচনার মাধ্যমে শান্তির বাজার মহকুমায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সম্পর্কে জানার পর তিনি পরবর্তী গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

