নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৩ আগস্ট: ভয়াবহ বন্যায় কৃষি প্রধান কেন্দ্র বলে পরিচিত মোহনপুর, মলয়া ও গঙ্গানগর ধানের জমি এখনো জলের তলায়। তিন শতাধিক কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কৃষকদের সাথে নিয়ে সরোজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত ধানের জমি গুলি খতিয়ে দেখলেন কমলপুর দুর্গা চৌমুহনী কৃষি তত্বাবধায়ক সহযোগিতায় ধলাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী ড: তন্ময় ভৌমিক, কৃষি বিজ্ঞানী ড: রবীন দেববর্মা, সেক্টর অফিসার প্রীতম সাহা, সভাপতি এফপিও দুর্গা চৌমুহনী পিন্টু শর্মা, দুর্গা চৌমুহনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস পাল সহ অন্যান্যরা।
এবার ধলাই নদীর বন্যায় কৃষি ক্ষেত্রে আমন ধানের প্রচন্ড ক্ষতি হয়েছে। ধানের চারা রোপণ করার ৭/৮ দিনের মধ্যে বন্যা হওয়ার ফলে আমন ধানের চারা গুলি জলের নিচে থাকায় পচে যায়। মোহনপুর, মলয়া ও গঙ্গানগর ধানের জমি এখনো জলের তলায়। গঙ্গানগর গ্রামের কৃষক আব্দুল সালাম জানান, উনার ৮ কানি আজ ৭/৮ দিন যাবত জলের তলায় আছে।
তিনি ৮ কানি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করে ছিলেন। ধানের চারা গুলি পচে শেষ হয়ে যাবে। কি খাবে, কিভাবে চলবেন এই নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উনার মতো তিন গ্রাম মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক কৃষক আছেন তাদের ধান নষ্ট হয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানী তন্ময় ভৌমিক জানান, কয়েক দিন আগে বন্যায় কৃষক বন্ধুদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখানে পরিদর্শনে এসে কৃষকদের দুর্দশা দেখে খুব দুঃখ হয়।

