আগরতলা, ২৩ আগস্ট : ত্রিপুরার ভয়াবহ বন্যা থেকে বেরিয়ে আসার চ্যালেঞ্জিং সময়ে মানবিক মনোভাব প্রদর্শন করে, বিএসএফ ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের উদ্ধারে জওয়ানদের নিযুক্ত করা ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক পরিষেবাও দিয়ে চলেছে। বিএসএফ জওয়ানরা গত দুই দিনে ধলাই জেলার সীমান্ত এলাকায় গ্রামবাসীদের পানীয় জল বিতরণ করেছে।
বিএসএফের শালবাগান সদর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধলাই জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাঠিয়াপুরা ও রাঙ্গাউটির স্থানীয় জনগণের অনুরোধে এবং উনাকোটি জেলার জেলা শাসকের পরামর্শে বিএসএফ জওয়ানরা গ্রামবাসীদের পশুসম্পদ রক্ষায় সহায়তা করেছে। ওই বিবৃতি অনুসারে, অনুমোদন দেওয়ার মতো না হলেও গ্রামবাসীদের প্রায় ২০০ টি গবাদি পশুকে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে বেঁধে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এর কারন হচ্ছে সেই দিনে গবাদি পশুর জন্য কোনও বিকল্প খাদ্য উপলব্ধ ছিল না।
এরকমই আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে, বিএসএফ ধলাই জেলার অন্তর্গত রইস্যাবাড়ির সীমান্ত এলাকায় বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে তাদের জিনিসপত্র ও গবাদিপশুসহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সত্বর গাড়ির ব্যবস্থা করেছে।
বর্তমানে, বিএসএফ মেডিক্যাল টিমগুলি বেশ কয়েকটি বন্যা দুর্গত সীমান্তবর্তী এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা এবং রোগীদের চিকিৎসা প্রদান এবং ওষুধ বিতরণের কাজ শুরু করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাবারের প্যাকেটও বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ত্রিপুরায জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে তৎপরতার তত্ত্বাবধান করেছেন ডিআইজি অনিল শর্মা।
বিএসএফ শুধু প্রতিরক্ষার প্রথম লাইনই নয়, সীমান্ত এলাকায় যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রথম মদতদাতাও। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্তবর্তী জনগনদের উদ্ধার ও সহায়তার জন্য বিএসএফ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

