ঢাকা থেকে মনির হোসেন।। বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুমন কুমার রায় বলেন, দেশ আজ নরকে পরিপূর্ন হয়েছে, কোন মানুষের নিরাপত্তা নাই। অতি দ্রুত এই অরাজকতা বন্ধে দেশবাসীকে বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক, সুখী, সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দল, মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন করে সংখ্যালঘুদের এই দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। দেশ কারো বাপের না যে সংখ্যালঘুরা ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। প্রয়োজনে সংখ্যালঘুরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত । কারণ আমরা প্রীতিলতা ও মাস্টার দা সূর্য্য সেনের উত্তরসুরী।সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে আহবান জানানোর জন্য বীর মুক্তি যোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামী দলের আমীর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আমীরসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ববৃন্দ যারা বিভিন্নস্থানে মঠ- মন্দির পাহাড়া দিচ্ছেন। তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ সনাতন পার্টির উদ্যেগে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, দোকানপাট, বাড়িঘর লুটপাট, মঠমন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধে রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা রিপোটার্স ইউনিটি সেগুন বাগিচা নসরুল হামিদ বিপু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় সাধারন সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায় এর পরিচালনায় গনমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শাহরিয়ার ফুয়াদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক অশোক ধর, বাকশালের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ জহিরুল কাইয়ুম, বিশিষ্ট সাংবাদিক সুজন দে, এডভোকেট লিটন বনিক, গোপাল দাস, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক নীহার চন্দ্র হালদার, বিকাশ চন্দ্র অধিকারী, অমিত বর্মন, হরিনাথ নম বিশ্বাস, আকাশ সরকার, গৌতম চন্দ্র দাস,সবুজ বৈরাগী, রুপম সরকার, এ্যাড. গৌরাঙ্গ লাল মন্ডল, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব সাজন কুমার মিশ্র অ্যাড. দুর্জয় দে সঞ্জয়, অ্যাড. বাসুদেব গুহ, মুকুল ঘোষ, ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত বর্তমান অন্তবর্তী কমিটির সকল সম্মানিত উপদেষ্টাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কে কালিমালিপ্ত করার জন্য একটি গোষ্ঠী সংখ্যালঘু নির্যাতন করছে অনতিবিলম্বে তাদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য উদাও আহবান জানান। উপস্থিত অন্যান্য বক্তাগণ অনতিবিলম্বে এ সাম্প্রদায়িক ও বর্বরোচিত হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শান্তির দাবী জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে নতুন অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে ৯ দফাদাবী গুলো হচ্ছে, চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতন অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং নির্যাতিত সকল পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরবর্তী সহিংসতায় নিহত সকলের পরিবারের একজন সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি ব্যবস্থা করতে হবে এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে,সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে, ২০০১-২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল সংখ্যালঘু নির্যাতন ও রাজনৈতিকভাবে নিপিড়ন, হত্যা, গুম, খুনসহ সকল বিষয় পুন:তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে,স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন,দায়িত্ব পালনে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেক পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি প্রদান,অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করে প্রকৃত মালিকদের নিকট সম্পত্তি হস্তান্তর ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট কে হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশনে রূপান্তর,১৯৭২ সালের সংবিধানে পুন:প্রবর্তন,সকল দুর্নীতিবাজ ও সরকারি অর্থ লুণ্ঠনকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমাদান করতে হবে,সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধে স্থায়ী সমাধাণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করা,রাষ্ট্রেীয় পদ্ধতির আমুল সংস্কার করে বৈষম্য মুক্ত অসাম্প্রদায়িক কল্যান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, দ্রুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ফিরিয়ে এনে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘুসহ সকল অত্যাচার নির্যাতনকারীদের ব দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বৈষম্য মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনের জন্য উক্ত ৯ দফা দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী খ্যাতনামা অধ্যাপক ড. মোহম্মদ ইউনুস এর প্রতি উদাত্ত আহ্বান।