বাংলাদেশে হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন, সংঘর্ষ, গুলি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ঢাকাসহ ১৩ জেলায় নিহত ৫৬, গুলিবিদ্ধসহ আহত কয়েকশ

মনির হোসেন।।

বাংলাদেশে রবিবার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলছে। হাসিনা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ফেণীতে ৭জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ জন, মুন্সিগঞ্জে ২ জন, বগুড়ায় ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ২, কুমিল্লায় ২ জন, জয়পুরহাটে ১ জন,লক্ষীপুরে ৪ জন,নরসিংদীতে ৬ জন,জয়পুরহাটে ১জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী,সাংবাদিক,পুলিশ ও শিক্ষার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পাবে বলে জানাগেছে। রাজধানী ঢাকার উত্তরায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৯ জন ও ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে সংঘর্ষে কয়েকশ আহত হওয়ার খরব পাওয়া গেছে। 

সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর এবং উপজেলা সদরে কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। সারা দেশে সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর হবে। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ মো. শরীফ মাহমুদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, এখন যারা নাশকতা করছে তারা কেউই ছাত্র নয়। তারা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সরকার পতনের একদফা দাবিতে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। 

শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশের ফলে কোথাও কোথাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব কোনো কিছুই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। রবিবার একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশনা আমাদের কাছে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *