জনকল্যাণমুখী বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার : সাংসদ বিপ্লব 

আগরতলা, ২৪ জুলাই: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জনকল্যাণমুখী বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।

আজ সাংসদে বাজেট অধিবেশনে শ্রী দেব বলেন, নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে দেশের দায়িত্বভার হতে নিয়েছেন। তারপর থেকে দেশ আর্থিক দিক দিয়ে অনেকটাই উন্নত হয়েছে।তাঁর কথায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রায় ৪৮ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত বছরের বাজেটের তুলনায় ১৮.২ শতাংশ বেশী মূলধনী ব্যয় ধরা হয়েছে। মূলধনী ব্যয় বেশী ধরা হলে দেশে সরকারি এবং পরিকাঠামোর দিক দিয়ে অনেক সুবিধা হয়। বাজেটের সব অংশের লোকেদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রেখে দেশকে নতুন দিশায় নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন তিনি আরও বলেন, এই বাজেট মাধ্যমে দেশের সব রাজ্য ৪ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি বেশী পাবে। জনকল্যানমুখী বাজেট পেশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ৫ বছরের সময়কালে  ৪ কোটি ১ লক্ষ যুবক- যুবতীর জন্য কর্মসংস্হান, দক্ষতা এবং অন্যান্য সুযোগ দেওয়া হবে। 

তাঁর কথায়, আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতীদের শীর্ষস্হানীয় ৫০০টি সংস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়ার প্রকল্প চালু করা হবে। তাতে দেশের সবস্তরের যুবক যুবতীরা প্রতিষ্ঠিত হতে সুযোগ পাবে। এই বাজেটে এটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের যুবক যুবতীদের পাশে রয়েছেন। দীর্ঘ বছর ধরে দেশের কংগ্রেসের রাজত্ব ছিল। কিন্তু তৎকালীন সময়ে কংগ্রেস যুবাদের সেই দৃষ্টিতে দেখত না। তাছাড়া, এই বাজেটে শিক্ষা, কমসংস্থান এবং দক্ষতার জন্য ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, দেশের গ্রাম এবং গরিবের উন্নতির পথে এই কেন্দ্রীয় বাজেট এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনায় আরও ৫ বছর বিনামূল্যে রেশন প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে দেশ দুগ্ধ উৎপাদনে সর্বপ্রথম। কিন্তু কংগ্রেসের আমলে দেশ দুগ্ধ উৎপাদনে সর্বপ্রথম ছিল না। চাল ও গম উৎপাদন দেশ দ্বিতীয় রয়েছে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের মহিলাদের স্বশক্তিকরণ উপর জোর দিয়েছেন।  সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিন তিনি বলেন, তৎকালীন সময়ে কেন্দ্র কংগ্রেসের সরকার থাকাকালীন ত্রিপুরায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কংগ্রেসকে মসনদ থেকে সরিয়ে ছিল। নিজেদের মিত্রতা রক্ষার করার জন্য ত্রিপুরায় সিপিএমকে বসিয়ে ছিল। তার কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির উপর একাধিক বার সিপিএম আক্রমণ চালালেও এখন তারা একসাথে জোট করেছে।

তার দাবি, ২০৪৭  সাল পর্যন্ত দেশে  বিজেপি থাকবে। ৪০০ এর বেশি  আসন নিয়ে বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসবে। কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আসাম থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েও একবারের জন্য ত্রিপুরায় আসেননি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মোট ৯০ দার উত্তর পূর্বাঞ্চল সফর করেছেন।