পাথারকান্দি (অসম), ২৩ জুলাই (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নিলামবাজার থানাধীন বেড়াজাল এলাকায় চার চাকার হোন্ডাই এবং একটি যাত্রীবাহী অটো রিকশার সংঘর্ষে এক শিশু, তিন মহিলা সহ পাথারকান্দির ছয় বাসিন্দার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় পাথারকান্দিতে শোকে বন্যা বইছে।
ঘটনা আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নিলামবাজার থানা এলাকার বেড়াজালে ৮ নম্বর জাতীয় সংঘটিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অটো চালক সহ পাঁচ জনের বাড়ি পাথারকান্দির চাঁদখিরা এবং একজনের আসিমগঞ্জে।
আজ দুপুরে চাঁদখিরার বাসিন্দা জনৈক গুলজার হোসেন স্থানীয় অটো চালক রুহুল আলমের অটোয় করে মা, শাশুড়ি, স্ত্রী বেদনা বেগম এবং তিন বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে করিমগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন। শাশুড়ি তাঁর আসিমগঞ্জের কেউটি গ্রামের বাড়ি থেকে এসে গত কয়েকদিন ধরে চাঁদখিরায় মেয়ের বাড়িতে ছিলেন।
যাত্রীবাহী অটো রিকশাটি নিলামবাজারের বেড়াজাল এলাকায় পৌছে। তখন বিপরীত দিক থেকে আগত দুরন্ত একটি হোন্ডাই কার তাঁদের অটো রিকশায় অতর্কিতে ধাক্কা দিলে ভয়ংকর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রচণ্ড ধাক্কায় অটো রিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে পাল্টি খেয়ে সড়কের পাশে খালে গিয়ে পড়ে। খালে পড়ে হোন্ডাইও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজনের অকালমৃত্যু ঘটে। অন্য দুই আহতকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষে তাঁরাও মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামলাতে করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুলকুমার যাদব ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনগণকে বুঝিয়ে মৃতের পরিবারবর্গকে সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। জেলাশাসকের আশ্বাস পেয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়।
নিলামবাজার থানার পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়িকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে। এদিকে ছয়টি মৃতদেহের ময়না তদন্ত করতে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হৃদয়বিদারক ঘটনায় ছাত্র সংগঠন আমসা-র কর্মকর্তারা গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার সদগতি কামনার পাশাপাশি সহ মৃতদের পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় সার্কল অফিসার এবং করিমগঞ্জের জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

