মেঘালয় সহ গোটা উত্তরপূর্বের উন্নয়নে বৃহৎ পরিকল্পনা কেন্দ্রের, শিলঙে বলেছেন ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য

স্থানীয় বাঁশ শিল্পীদের কারুকার্যের প্রশংসা, বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রয়েছে : সিন্ধিয়া

শিলং, ১৩ জুলাই (হি.স.) : মেঘালয় সহ গোটা উত্তরপূর্বের সার্বিক উন্নয়নে বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, শিলঙে বলেছেন ‘ডেভেলপমেন্ট অব নর্থইস্ট রিজিওন’ (ডোনার) দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য মাধবরাও সিন্ধিয়া। দুদিনের সফরসূচি নিয়ে গতকাল শুক্রবার শিলং এসেছেন ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এখানে নর্থইস্ট কাউন্সিল (এনইসি)-এ সিন্ধিয়া উত্তরপূর্ব ভিশন ২০৪৭ শীর্ষক এক কর্মসূচির সূচনা করেছেন। তিনি নর্থ ইস্টার্ন রিজিয়ন অ্যাগ্রি-কমোডিটি ই-কানেক্ট অ্যাপের চালু করেছেন, যা কৃষকদের সরাসরি ক্রেতাদের সাথে সংযুক্ত করবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য মাধবরাও সিন্ধিয়া উত্তর-পূর্বাঞ্চল বেত এবং বাঁশ উন্নয়ন পরিষদ (এনইসিবিডিসি)ও পরিদর্শন করেছেন। এনইসিবিডিসি এই অঞ্চলের বাঁশ শিল্পের সম্ভাবনার জন্য উৎসাহ প্রকাশ করেছেন সিন্ধিয়া৷ মন্ত্রী স্থানীয় বাঁশ শিল্পীদের কারুকার্যের প্রশংসা করে বলেন, তাঁদের পণ্যের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রয়েছে। ডোনার মন্ত্রী সিন্ধিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে এই উদ্যোগগুলির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এই অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হিসেবে বাঁশ শিল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরে একে ‘উত্তরপূর্বের সবুজ সোনা’ বলে অভিহিত করেছেন। ‘ডেভেলপমেন্ট অব নর্থইস্ট রিজিওন’ দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এই অঞ্চলে বাঁশ শিল্প খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁরা প্রশিক্ষণ এবং বাজার সংযোগের মাধ্যমে বাঁশ কারিগরদের ক্ষমতায়নে এনইসিবিডিসি-র ভূমিকা রয়েছে। আদিবাসী ঐতিহ্য রক্ষায় ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান সিন্ধিয়া। শিলং-এর মহিলা কৃষকদের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কৃষি ও এর সঙ্গে যুক্তদের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চল কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং এন্টারপ্রাইজ (এনইআরএসিই) প্ল্যাটফর্মের এই সকল কৃষককে বিশ্ব বাজারের সাথে সংযুক্ত করার ক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা ভারতের কৃষি রফতানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে। শিলং সফরে এসে সিন্ধিয়া ‘এক পেড় মা কে নাম’ (মায়ের নামে একটি গাছ) উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে পরিবেশগত টেকসই ব্যবস্থাকে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি গাছের চারা রোপণ করেছন। গাছের চারা রোপণ করে মন্ত্রী বলেন, এই পদক্ষেপ একটি সবুজ ভারত তৈরির বৃহত্তর জাতীয় লক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত। এদিকে আজ শনিবার দুপুরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শিলং থেকে গুয়াহাটি গিয়েছেন। গুয়াহাটির গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।