নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই : কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে বৈদ্যুতিন ফাইল ব্যবস্থাপনা বা ই-অফিস এর বাস্তবায়ন তাৎপর্যপূর্ণ গতিপেয়েছে। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে ৩৭ লক্ষ কাগজ নির্ভর ফাইলকে ই-ফাইল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যা শতকরা হিসেবে ৯৪ এবং পাশাপাশি এই সময় কালে ৯৫ শতাংশ রিসিপ্ট আদান-প্রদান করা হয়েছে ই-রিসিপ্ট-এর মাধ্যমে। এই উদ্যোগটিকে আরোও ছড়িয়ে দেবার জন্য সরকার ই-অফিস বিশ্লেষণ-তথ্য গড়ে তুলেছে।
কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে ই-অফিস প্ল্যাটফর্ম রূপায়ণের এই সাফল্যের প্রেক্ষাপটে ডিএআরপিজি (প্রশাসনিক সংস্কার ও জন অভিযোগ দফতর) বর্তমানে সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩৩-টি সরকার অধীনস্ত ও স্বশাসিত দফতর, কার্যালয়ে ই-অফিস ব্যবস্থা রূপায়ণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এই মর্মে, ২০২৪-এর ২৪ জুন তারিখে, তাদের জন্য নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে , এবং সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে ই-অফিস রূপায়ণের জন্য ডিএআরপিজি অর্থাৎ প্রশাসনিক সংস্কার ও জন অভিযোগ দফতর হবে সংযোগরক্ষাকারী দপ্তর ও এনাইসি হবে জ্ঞান বিষয়ক অংশীদার।
বুধবার এক আন্ত-মন্ত্রক বৈঠকে ই-অফিস রূপায়নের জন্য পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন ডিএআরপিজি-র সচিব ভি শ্রীনিবাস। এ ছাড়াও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত মন্ত্রক ও দপ্তরের বিভিন্ন কার্যালয় ১৩৩-টি সরকার অধীনস্ত ও স্বশাসিত দফতর ও কার্যালয়ের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা। এই বৈঠকে ই-অফিস কাঠামো গঠন করতে নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। বৈঠকে এনআইসি-র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল রচনা শ্রীবাস্তব। ই-অফিস রূপায়ণের জন্য পদ্ধতিগত প্রায়োগিক বিষয়গুলি উপস্থাপন করে এনআইসি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সমস্ত মন্ত্রক ও দপ্তর তাদের কার্যালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করবে, পাশাপাশি এ জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ ও ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে।

