নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ৯ জুলাই: কাটাতার কেটে গবাদি পশু পাচারের অভিযোগ উঠল। একই গ্রামের তিন বাড়িতে গরু চুরির ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায় ঘটনা কমলপুর সোনারায় গ্রামে। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কেটে মঙ্গলবার গভীর রাতে কমলপুরের সীমান্ত গ্রাম সোনারায় থেকে তিনটি গরু নিয়ে পালালো বাংলাদেশের চোরেরা। বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় কমলপুরের সোনারায় গ্রাম সহ অন্যান্য সীমান্ত গ্রামগুলিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কমলপুরের সোনারায় গ্রাম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৯০৩-১৯০৪ নম্বর পিলারের মধ্যে অবস্থিত। মঙ্গলবার রাত ২টা নাগাদ বাংলাদেশী চোরেরা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে সোনারায় গ্রামের বাসিন্দা কৃষক চন্দ্রদ্বীপ তেলীর একটি গাভী ও সীতারাম কৈরীর দুটি বলদ গরু বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। গরুর মালিকরা টের পেয়ে গ্রামবাসীদের নিয়ে মরাছড়া ১০৫ নং ব্যাটেলিয়ান বিওপিতে ঘটনা জানালে বিএসএফ কোন গুরুত্ব দিতে চায়নি বলে অভিযোগ।বিএসএফ গ্রামবাসীদের অন্য জায়গায় খুঁজতে বলে। চোরেরা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া যেখানে কেটে গরুগুলি নিয়ে যায় সেই জায়গায় থেকে দেড়শো মিটার দূরত্বে রয়েছে ডিউটি টাওয়ার। রয়েছে সীমান্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইট। কিন্তু এসবের মধ্যে চোরেরা বিনা বাধায় গরুগুলি জিরো পয়েন্ট দিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ পাড়ি দেয়। গত ৩০ জুন সোনারায় গ্রামের লক্ষন মুন্ডার দুটি গরু বাংলাদেশী চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কমলপুর থানার পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত করে চলে যান। চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা ঘটনার বিবরন দিয়ে বলেন, চুরি যাওয়া গরু গুলি বিএসএফকে এনে দিতে হবে। এদিকে, গরু চুরির পর বিএসএফের কমান্ডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়ম রক্ষার জন্য স্নেপার ডগ এনে ঘুড়িয়ে নিয়ে যায়। এবিষয়ে ১০৫ নং ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ অফিসার কেউ কথা বলতে চায়নি। প্রায় প্রতিনিয়ত এধরনের চুরিকান্ডের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

