নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৬ জুন: রাজ্য সরকার রাজ্যকে আরো উন্নত করে তোলার লক্ষে কৃষি উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কৃষকদের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কৃষি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে তেলিয়ামুড়া মহকুমার উদ্যোগে আগামী খারিফ মরশুম অভিযান ও অন্যান্য কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন বিষয় নিয়ে একদিবসীয় কৃষি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তেলিয়ামুড়া ব্রহ্মছড়াস্থিত কৃষি তত্ত্বাবধায়ক অফিস প্রাঙ্গণে জেলা মাশরুম ল্যাবের কনফারেন্স হলে খোয়াই জেলা পরিষদ ও তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান, ভিলেজ কাউন্সিলের সদস্য ও সদস্যাদেরকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন যমুনা দাস রায়, ভাইস চেয়ারপারসন দীপা দেব, খোয়াই জেলা পরিষদের এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রেসিডেন্ট সত্যেন্দ্র দাস, জেলা পরিষদের সদস্য রঞ্জিত দাস, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির এগ্রি স্টান্ডিং কমিটির প্রেসিডেন্ট নিরোধ দাস, ব্লক এডভাইসারি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান প্রসন্ন হরি জমাতিয়া, এছাড়া অংশগ্রহণ করেন তেলিয়ামুড়া ও মুঙ্গিয়া কামি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান এবং ভিলেজ কাউন্সিলের সদস্যরা সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।
আসন্ন খারিফ মরশুমে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ও শংকর প্রজাতির ধানের চাষাবাদের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন কৃষি তত্ত্বাবধায়ক ডক্টর সুব্রত রায়। এছাড়া কৃষকদের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নে বিভিন্ন আধুনিক কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তির বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনা করেন। গুরুত্ব আরোপ করা হয় যাতে প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষবাসের আওতায় আনা হয়।
আধুনিক বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃষকদের কিভাবে আরো বেশি করে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের কৃষি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র দাস জনপ্রতিনিধিদের আরো বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আবেদন রাখেন।
এছাড়া আলোচনা করা হয় আগামী ২রা জুলাই থেকে শুরু হওয়া তেলিয়ামুড়া মার্কেটে সরকারীভাবে ধান ক্রয়ের বিষয় নিয়েও। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে আবেদন রাখা হয় যেন উনারা কৃষকদের অনুপ্রাণিত করেন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার জন্য।
কৃষি তত্ত্বাবধায়ক ডক্টর সুব্রত রায় জানান, ত্রিপুরা কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে আগামী দিনে কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। এই ডাটাবেজ তৈরিতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে কি কি উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে এবং কৃষক ভাই-বোনদের সার্বিক উন্নয়ন কিভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কৃষি তত্ত্বাবধায়ক অফিসের এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর, তেলিয়ামুড়া, কৃষ্ণপুর ও মুঙ্গিয়াকামি এগ্রি সেক্টরের সেক্টর অফিসার সহ অন্যান্য এগ্রি অ্যাসিস্ট্যান্টরা।

