BRAKING NEWS

বনভূমি দখল করে বসবাস ঘিরে উত্তপ্ত লংতরাইভ্যালী

নিজস্ব প্রতিনিধি, লংতরাইভ্যালী, ২৫ জুন: বনভূমির পাট্টা ইস্যুতে পরিস্থিতি জটিল করে তোলার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। স্বার্থান্বেষীরা এই ইস্যুতে নিজেদের লাভালাভের অংক কষতেই এধরনের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বনভূমি পাট্টা ইস্যুতে উত্তপ্ত লংতরাইভ্যালী। এই অশনি পরিস্থিতির পেছনে নোংরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি ছামনু বিজেপি মন্ডল কমিটির।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, একজন জনজাতি নেতার রাজনৈতিক স্বার্থ  চরিতার্থ করতে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।

এখানে  উল্লেখ্য গত ১৩ জুন সকালেই আচমকাই ছামনু প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কিছু জনজাতি পরিবার লংতরাইভ্যালী মহকুমা অফিস সংলগ্ন শালবাগানে জড়িত হতে থাকে। তারা শালবাগানের জঙ্গল কেটে  দখল আরম্ভ শুরু করে । খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা শাসক উত্তম কুমার ভৌমিক এবং মহকুমা ফরেস্ট অফিসার।

মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে কিভাবে তারা  ফরেস্ট ল্যান্ড দখল করছে  জানতে চাইলে দখলকারী জনজাতি পরিবাররা দাবী করে ছামনু বনকুমারি এলাকায় চাকমা সম্প্রদায়ের লোকেরা ফরেস্ট ল্যান্ড অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করছে। প্রশাসন বনকুমারী এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারীদের  যদি উচ্ছেদ না করে তবে তারা মহকুমা অফিস সংলগ্ন শালবাগান দখল করে বসবাস শুরু করবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিলে সেদিনের মতো পরিস্থিতি শান্ত হয়।

কিন্তু ঠিক পরের দিনই একই ইস্যুতে মনু ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় জাতীয় সড়ক  অবরোধ করে একাংশ জনজাতি পরিবার। তারপর মহকুমার আরও দু’একটা জায়গায় একি ছবি লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে  লংতরাইভ্যালী মহকুমা অফিসে ছামনু ও করমছড়া কেন্দ্রের উভয় বিধায়ক, ছামনু ও মনু-ছৈলেংটা কেন্দ্রের উভয় এমডিসি, জেলাশাসক ও ডিএফও, ধলাই জেলার এসপি সহ জনজাতি নেতাদের নিয়ে শান্তি বৈঠক হয়।

আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে ১৫ দিনের মধ্যেই কমিটি গঠন করে তদন্ত শেষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমতাবস্থায় গোটা মহকুমা জুড়ে অজানা এক থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এবার সাংবাদিক সম্মেলনে ছামনু বিজেপি মন্ডল কমিটির দাবি একাংশ জনজাতিদের ভুল বুঝিয়ে সরকারি বনভূমি দখলের নামে মহকুমা জুড়ে এক অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দাবী একজন নেতা নিজের হারিয়ে যাওয়ার জমি পুনরুদ্ধারী এবং আগামীতে নিজের টিকেট পাকাপোক্ত করতেই এমন জঘন্য ষড়যন্ত্রের খেলা শুরু করেছেন। তারা বলেন সাম্প্রতিক সম্প্রীতি অটুট রেখেই মহকুমার জনজাতিরা বসবাস করছে। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে একজন নেতা সুন্দর পরিবেশকে বিষাক্ত করছেন। কারন ১৮ সালের পর মোট ১৪২ পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে।  তার মধ্যে ৮৯ পরিবার রিয়াং, ২৮ পরিবার চাকমা, ২৫ পরিবার ত্রিপুরী কমিউনিটির।

বনকুমারী এলাকায় যারা আছেন তাদের পাট্টা বাম আমলে দেওয়া হয়েছিল। তবে এতদিন পর তাদের পাট্টা নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠছে। ছামনু বিধানসভার  মালিধর, বাজধর, থালছড়া, গোবিন্দবাড়ি, নাথিনমনুর মতো ভিলেজে অনেকেই সরকারি বনভূমিতে বসবাস করছে। প্রশাসন সঠিক পথেই কাজ করুক এটাই আশা করে ছামনু মন্ডল কমিটি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছামনু বিজেপি মন্ডল সভাপতি মোহনলাল চাকমা,  বিজেপি যুব নেতা মন্ত্রীজয় ত্রিপুরা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *