রাস্তা সংস্কারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৪ জুন: রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করলো এলাকাবাসীরা। ঘটনা কৈলাসহরের সমরুরপার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। রাস্তা সংস্কার নিয়ে অবরোধকারী ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। কৈলাসহরের চন্ডিপুর ব্লকের অধীনে থাকা সমরুরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ড এলাকায় একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তাটির উপর দুই শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল বলে অবরোধকারীরা জানায়।

২০১৮ সালের আগে থেকেই রাস্তার বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই জল কাঁদায় একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি।  যার ফলে কচিকাঁচাদের স্কুলে যেতে অসুবিধা হয়, ছোট বড় যানবাহন সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারেনা। সংশ্লিষ্ট  এলাকাতেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা, সেই মাদ্রাসার পঠন পাঠানো ব্যাহত হচ্ছে এই রাস্তার কারণে। অবরোধকারীদের বক্তব্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে চন্ডীপুর ব্লকের বি ডি ও এমনকি কৈলাসহর মহকুমা শাসককে  লিখিতভাবে ও মৌখিকভাবে জানানোর পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে সোমবার বিকেলে পথ অবরোধ করে এলাকাবাসী। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের ফলে সাধারণ পথ চলতি নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পথ অবরোধের নেতৃত্বে ছিলেন চন্ডিপুর ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল আলী।

অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনা চলে ছুটে আসে সমরুরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ দাস, তিনি এসে অবরোধকারীদের সাথে দীর্ঘ সময় আলাপ-আলোচনা করেন এবং আলোচনার মাধ্যমেই অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। উপপ্রধান দিলীপ বাবু সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন যে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করে জনগনের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী শিবির শাসক দলকে চাপে রাখতে চাইছে। তাই, রাস্তা অবরোধ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

তাছাড়াও উপ প্রধান জানান যে, গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ড এলাকার রাস্তাটি মেরামতের জন্য পঞ্চায়েত কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হতে হয়েছে। কারন, এলাকায় মাটির রাস্তা ইট সোলিং  কিম্বা সি.সি রোড করতে হলে রাস্তার নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রশস্ত থাকতে হয়, তাছাড়া  চব্বিশ জুন সোমবার যারা রাস্তা সংস্কারের জন্য সড়ক অবরোধ করে জনসাধারণকে দুর্ভোগে ফেলেছে তারাই রাস্তার জন্য জমি দিতে রাজি হয়নি। পঞ্চায়েতের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। সেই কারণে রাস্তা তৈরির জন্য স্বেচ্ছায় জমি না দিলে পঞ্চায়েত রাস্তা তৈরি করে দিতে পারবে না। আর অবরোধকারীরা যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী কখনোই গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা বিডিওকে আবেদন করেনি। সমরুরপার পঞ্চায়েতও চায় গোটা পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত রাস্তা ইট সোলিং কিংবা সিসি রোড নির্মাণ করতে। তবে, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে বলে দিলীপ বাবু জানান। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *