নয়াদিল্লি, ২২ জুন (হি.স.): “ভারত আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের দ্বাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটি কোনও দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। ভারত আমাদের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্য দেয়, যা ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু হয়েছিল, আমি ভারতের সাহসী, বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”
শনিবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সংক্রান্ত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। হাসিনা বলেছেন, “আমি আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাই।”
মোদীর আমন্ত্রণে শুক্রবার হাসিনা-সহ বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদল দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছয়। শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা কর্মসূচি। সেখানে হাসিনা এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অশ্বারোহী দেহরক্ষী বাহিনী ভবনের বাইরের ফটক থেকে হাসিনার কনভয়কে নিয়ে যায় ভিতরে। এর পর ভারতীয় সেনার তিন শাখার তরফে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক ‘গার্ড অফ অনার’। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে হাসিনারা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এর পরে হায়দরাবাদ হাউসে মোদী-হাসিনার বৈঠক হয়।