উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকারকারীকে সংবর্ধনা

আগরতলা, ২১ জুন: শুক্রবার এক সংবর্ধনা সভার মাধ্যমে কৃষ্ণপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রাজ্যে টিবিএসই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকারকারী অপি দেবনাথকে এক সংবর্ধনা দেওয়া হল। এই সংবর্ধনা সভায় মুখ্য বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবরাজ নগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের হেডমাস্টার ধনঞ্জয় দেববর্মা সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 

বেশ প্রতিকূলতার মধ্যে যেখানে সঠিকভাবে শহরের উন্নত মানের শিক্ষক রাখার সাধ্য নেই ঘরে সামান্য বৃষ্টি হলেই জল পড়ে সেই পরিবেশ থেকে অপি দাস বিজ্ঞান বিভাগে দশম স্থান অধিকার করেছে। উদ্বোধক ভবতোষ দাস বলেন একসময় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আবার ঘুরে আসছে। 

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এতই খ্যাতিসম্পন্ন এবং বই পত্রের উপর স্থিতিশীল ছিল যে বহিরাগতরা ভেবেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয় যদি ভারতীয়রা সঠিক শিক্ষা প্রদান করে তবে তারাই পৃথিবীতে এক নম্বর জায়গা দখল করে নেবে। তাই ৯০ লক্ষ এই বিদ্যালয়ের পুস্তক জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল বিদেশীরা। এখন নরেন্দ্র মোদী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার কোন প্রতিষ্ঠা করতে উদযোগী হয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কারণে দেশে নয়া শিক্ষানীতি প্রবর্তিত হচ্ছে যা দেশকে আরো উন্নতির পথে এগিয়ে নেবে বলে সবাই আশাবাদী। প্রচন্ড দারিদ্রতা থাকা সত্ত্বেও অপি দেবনাথ যদি তার একাগ্রতার জন্য করে দেখাতে পারে তাহলে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা কেন পারবে না তার ব্যাখ্যা দেন উদ্বোধক। যুবরাজ নগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস বলেন প্রচন্ড সংঘর্ষের মধ্যে যদি অপি দেবনাথ সহ তিনজন ৮৫% এর উপরে মার্কস পেয়েছে এই গ্রাম্য স্কুল থেকে করে দেখাতে পারে তবে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের বলেন তোমরাও এগিয়ে আসো। যেকোনো অসুবিধার সৃষ্টি হলে বা সমস্যার সৃষ্টি হলে তা তিনি ব্যক্তিগতভাবে সমাধান করে দেবেন যদি উনার সাথে যোগাযোগ করা হয়। তাছাড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি এই বিদ্যালয় এবং উনার প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়ের জন্য কি কি করেছেন তা তুলে ধরেন। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় দেববর্মা বলেন কিছু কিছু অসুবিধার সৃষ্টি হলেও এইরকম ভালো ফলাফলের উপর সকলের নজর পড়ে। আর নজর পড়লেই যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা সকলে মিলে সমাধানে এগিয়ে আসবে। এই বিদ্যালয়ের দুপুরের কক্ষে প্রায় ১০০০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে এবং শিক্ষকের সংখ্যা ২২ জন। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সার্বিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত এবং বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে তিনি জানান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *