BRAKING NEWS

বিভীষিকাময় যাত্রার সমাপ্তি, ভোররাতে শিয়ালদহে এসে পৌঁছল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

কলকাতা, ১৮ জুন (হি.স.): বিভীষিকাময় এক যাত্রার সমাপ্তি হল মঙ্গলবার ভোররাতে। শিয়ালদহ স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোররাত ৩.১৬ মিনিট, শিয়ালদহে এসে পৌঁছল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ। ওই ট্রেনেই ফিরলেন আতঙ্কিত যাত্রীরা। স্টেশন যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন শিয়ালদহের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) দীপক নিগম এবং রেলের অন্যান্য আধিকারিকও।

যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন রেল আধিকারিকেরাও। কোনও যাত্রীর শারীরিক কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সে বিষয়েও খোঁজ নেন তারা। শিয়ালদহে পৌঁছনোর পর যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবার এবং জলের বোতল। ফিরহাদ বলেছেন, “হেল্প ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত কর্মী, মন্ত্রী এবং পরিবহণ দফতরের সচিব এখানে আছেন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন… এটা খারাপ যে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করছে না। তাঁরা জনগণের জীবন নিয়ে খেলা করছে।” শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক নিগম বলেছেন, “আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি, চিকিৎসক দল এবং আরপিএফ দলও ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলিও স্ট্যান্ডবাই রয়েছে, প্রয়োজনে আমরা সেগুলি ব্যবহার করব… যাত্রীদের গাইড করার জন্য মেডিকেল বুথও রয়েছে।”
সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে শিয়ালদহের দিকে রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে সকালে আচমকা ওই ট্রেনে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত দু’টি কামরা মালবাহী। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত ২৫। দুর্ঘটনার পর দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ যাত্রীদের নিয়ে মালদার দিকে রওনা দেয়। মালদায় যাত্রীদের হাতে খাবার এবং জলের বোতল তুলে দেয় রেল। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর শিয়ালদহের দিকে রওনা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। বিভীষিকাময় যাত্রার সমাপ্তি হয় মঙ্গলবার ভোররাত ৩.১৬ মিনিটে। রেলের দেওয়া সময়ের ২০ মিনিট আগেই শিয়ালদহে ঢুকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *