কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বছরে দু’বার কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে: কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ১৫ জুন: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বছরে দু’বার কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে। কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণ রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। আজ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জোলাইবাড়ি মোটরস্ট্যান্ডে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়কমূল্যে রবি মরশুমের বোরো ধান ক্রয়ের সূচনা করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামোর উন্নয়ন, গরীব মানুষ ও কৃষকের কল্যাণ না হলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে না। কারণ কৃষি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়কমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি বিভীষণ দাস।

অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন, দেশ ও রাজ্যের অর্থনীতির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে কিষাণ সম্মাননিধি যোজনা, সহায়কমূল্যে ধান ক্রয়, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, মৃত্তিকা পরীক্ষার মতো প্রকল্পগুলি সহায়ক ভূমিকা নিচ্ছে। তাছাড়াও কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদে অভ্যস্ত করে তুলতে সহায়কমূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ১১ কোটির বেশি কৃষক কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যেও ইতিমধ্যে কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যে কৃষকদের মাসিক আয় বেড়ে এখন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য রাজ্যে কৃষি বাজার গড়ে তোলা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় কৃষকদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। রাজ্য সরকারও কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়কমূল্যে ধান ক্রয় করছে। রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ মেট্রিকটন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ক্রয় করেছে। এতে রাজ্যের কৃষকগণ ৩০০ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। এবার রাজ্যের ১৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এজন্য রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ৩১টি ব্লকে ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এবার প্রতি কেজি ধান ২১ টাকা ৮৩ পয়সা দরে ক্রয় করা হবে। অনুষ্ঠানে সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, কৃষকদের কল্যাণে রাজ্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এতে রাজ্যের কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শান্তিরবাজার মহকুমার মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *