করিমগঞ্জ (অসম), ৩০ মে (হি.স.) : করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক বন্যাতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গত দু দিন থেকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বরাক উপত্যকার তিন নদী বরাক, লঙ্গাই এবং কুশয়ারা। এর মধ্যে করিমগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কুশিয়ারা নদীর জলস্তর বাড়ছে দুরন্ত গতিতে। ফলে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের জলে প্লাবিত হয়েছে উত্তর করিমগঞ্জের লক্ষ্মীবাজার, লাফাশাইল গ্রামের শতাধিক পরিবার। জলমগ্ন বিএসএফ-এর ছয়টি বিওপি। চড়াকুড়ি, জগন্নাথি এবং স্টিমারঘাট বিওপির জওয়ানদের পার্শ্ববর্তী এলপি স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। জলে ডুবেছে কুড়িখালা সন্দেশ চাঁদশ্রীকোণা বিওপিও। দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত জওয়ানদের মধ্যে হাহাকার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সীমান্তে।
ভারত-বাংলাদেশের সীমা নির্ধারণকারী কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী করিমগঞ্জ শহরের বিসর্জন ঘাটের অবস্থা বেহাল। জিও ব্যাগ দিয়ে জল আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নদী সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিএসএফ-এর টহল। আলাদা করে ওপি পয়েন্ট তৈরি করে মিনিটে মিনিটে সীমান্ত নিরীক্ষণ করা চলছে।
ভারত-বাংলা সীমা নির্ধারণকারী কুশিয়ারা নদী বর্তমানে বিপদসীমার প্রায় দুই মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অবশ্য সীমান্ত সুরক্ষার জন্য প্রহরায় কোনও খামতি রাখছেন না বিএসএফ-এর জওয়ানরা। দেশের সুরক্ষা বলে কথা। যার দরুন হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে ঠাঁয় প্রহরা দিচ্ছেন জওয়ানরা। বালুর বস্তা দিয়ে জলের গতি রোধ করতে মাঠে নেমেছে বিএসএফ।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর সৃষ্ট বন্যার ফলে বহু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে বিএসএফের বিওপিগুলি।

