আগরতলা, ২৯ মে: বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের দাবীতে প্রায় সাড়ে সাত ঘন্টা বিকল্প জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসী। পাশাপাশি চন্ডীপুর ব্লকের মূল রাস্তা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েও অবরোধ করেন কৈলাসহরের জারুলতলীর গ্রামবাসীরা।
বিক্ষোভ চলাকালীন গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, জারুলতলী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিগত পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। কৈলাসহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থা সাই কম্পিউটার লিমিটেডের অফিসে জারুলতলী গ্রামের মানুষরা বার বার যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার অনুরোধ করলেও সাই কম্পিউটার লিমিটেডের পক্ষ থেকে পাঁচ দিন ধরে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যখনই গ্রামবাসীরা সাই কম্পিউটার সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছে তখনই সাই কম্পিউটার সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের বলা হতো, এই তো কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্মীরা গ্রামে আসবে।
এভাবে তিন দিন অতিক্রান্ত হবার পর গতকাল দুপুরে সাই কম্পিউটার সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের বলা হয়েছিল ঝড় তুফানে গ্রামের ভিতরে বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের উপরে প্রচুর গাছের ঢাল ভেংগে পড়েছে। সেই গাছের ঢাল গুলো পরিস্কার করা না হলে বিদ্যুৎ পরিসেবা স্বাভাবিক করা যাবে না। সাই কম্পিউটার সংস্থার পক্ষ থেকে এমন কথা শোনার পর গতকাল বিকেল থেকে গ্রামবাসীরা গ্রামে যেখানে যেখানে বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের উপরে গাছের ঢাল ভেঙে পড়ে রয়েছে সেগুলো পরিস্কার করতে শুরু করে।
গতকাল বিকেল থেকে সারা রাত ব্যাপী গ্রামবাসীরা এই কাজ করেছে। এরপরও সাই কম্পিউটার সংস্থার কর্মীরা বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য গ্রামে আসে নি। তাছাড়া গ্রামে পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে গোটা জারুলতলী গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সংকট চলছে। পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামে গাড়ি দিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়নি বলেও গ্রামবাসীরা জানান। গ্রামে পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই এবং পানীয়জলের তীব্র সংকটের ব্যাপারে স্থানীয় জারুলতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব সহ গ্রামের প্রধান সহ অন্যান্যদের জানানোর পরও কারোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস পাওয়া যায় নি বলেও অবরোধকারী গ্রামবাসীরা জানান। এতকিছুর পর গ্রামবাসীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে আজ সকাল ছয়টা থেকে বিকল্প জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে। জারুলতলী গ্রামে চন্ডীপুর ব্লকের অফিসের সম্মুখে ব্লকের রাস্তা অবরোধ করেন। খবর পেয়ে
দুপুর দেড়টা নাগাদ কৈলাসহর থানার পুলিশ এবং স্থানীয় চন্ডীপুর ব্লকের আধিকারিকরা অবরোধস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। বিদ্যুৎ পরিসেবা স্বাভাবিক করার এবং পানীয়জল সরবরাহের আশ্বাস দেবার পর অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

