নয়াদিল্লি, ২৬ মে (হি.স.) : কান চলচ্চিত্র উৎসবে নাম উজ্জ্বল ভারতের। বঙ্গতনয়া অনসূয়া সেনগুপ্ত পেয়েছেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। এবার প্রি সম্মান পেলেন পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া । তাঁর পরিচালিত ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ছবির জন্য এই পুরস্কার পেলেন তিনি। পুরস্কার জেতার জন্য পায়েল কাপাডিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন যে “অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট” এর জন্য ৭৭ তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গ্র্যান্ড প্রিক্স জেতার ঐতিহাসিক কৃতিত্বের জন্য ভারত পায়েল কাপাডিয়ার জন্য গর্বিত৷ তিনি আরও বলেন যে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ছাত্র তার অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে বিশ্ব মঞ্চে উজ্জ্বল হয়ে চলেছেন। তারা ভারতের সমৃদ্ধ সৃজনশীলতার আভাস দেয়। এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মান শুধুমাত্র তার অসাধারণ দক্ষতাকে সম্মান করে না বরং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করে।
প্রায় ৩০ বছর পর ভারতীয় ছবি হিসেবে পায়েলের পরিচালিত ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় মনোনীত হয়। তবে কানের সর্বোচ্চ সম্মান ডি’ওর পাওয়ার দৌড়েই নাম ছিল ছবিটির। তবে সেটি না পাওয়া গেলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান গ্রাঁ প্রি-তে সম্মানিত হয়েছে ছবিটি। ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ছবিটি মালয়ালি ও হিন্দি ভাষায় তৈরি একটি ছবি। মুম্বইয়ে থাকা দুই মালয়ালি নার্সকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। সংসারে বিরক্ত হয়ে রোড ট্রিপে বেরিয়ে একের পর এক নানা ঘটনার সম্মুখীন হয় তাঁরা। কাণি কুস্রুতি, দিব্যা প্রভা এবং ছায়া কদম এই ছবিতে অভিনয় করেছেন। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি।
অন্ধ্রপ্রদেশের মেয়ে পায়েল। মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনার পর তিনি ভর্তি হয়ে যান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায়। একাধিক শর্ট ফিল্মের পাশাপাশি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন পায়েল। এদিন পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত পায়েল বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় মনোনীত হওয়াই আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। এটা তো কল্পনারও অতীত। তাই ধন্যবাদ।’ নিজের ছবির তিন অভিনেত্রীকেও ধন্যবাদ দেন পায়েল।