ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। প্রত্যাশিতভাবেই প্রগতি বিদ্যাভবন স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালে। কালের বিবর্তনে স্কুল এবং উমাকান্ত একাডেমী যখন মাঠ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বা পিছিয়ে যেতে বসেছে ঠিক তখন প্রগতি বিদ্যাভবনের ছেলেরাই মাঠে রাজ করতে এগিয়ে আসছে। খেলা সদর আন্তঃ স্কুল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। উদ্যোক্তা ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন। এবারকার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার বিদ্রোহী কবি নজরুল বিদ্যাভবন এবং প্রগতি বিদ্যাভবন পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। প্রখর রৌদ্রে দুপুর একটা নাগাদ ম্যাচ শুরুতে টস জিতে খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব নিয়ে বিদ্রোহী কবি নজরুল বিদ্যাভবন প্রথমে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে অর্কজিৎ সাহার ১০২ রান এবং সাগর সূত্রধরের ৩২ রান উল্লেখযোগ্য। অর্কজিৎ ৬৮ বল খেলে ১৫ টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের স্কোর অনেকটা চ্যালেঞ্জিং করে তুলে। প্রগতি বিদ্যাভবনের সম্রাট দাস ১৮ রানে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের স্কোরে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া, রতন মালাকার, সুরজ সোম এবং রাহুল মিয়া প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পেয়েছে। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে প্রগতি বিদ্যাভবনের প্রারম্ভিক ব্যাটার্সরা যথেষ্ট দৃঢ়তার সঙ্গে খেলে ঠিক তিন ওভার বাকি থাকতে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করে নেয়। তবে এই জয়ের পেছনে প্রতীক দেববর্মার অধিনায়কোচিত ব্যাটিং যথেষ্ট উল্লেখের দাবি রাখে। প্রতীক ৪৪ বল খেলে নটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অপরাজিত ভূমিকায় ৮৩ রান সংগ্রহ করে দলকে জয় এনে দেয়। পাশাপাশি ওপেনার হৃদয় দেবনাথ এর ২২ রান এবং সম্রাট দাসের ২৬ রান প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করার মতো। ভালো বল করে চারটি উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও ১৯ বল খেলে দুটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি মেরে ২৬ রান সংগ্রহ করে সম্রাট দাস দলের জয়ের অন্যতম ভূমিকা পালন করে বলে তাকে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কবি নজরুল বিদ্যাভবনের বিশাল শীল দুটি এবং আকাশ দেবনাথ ও অতনু রায় একটি করে উইকেট পেয়েছিল।