উত্তর ২৪ পরগনা, ২২ মে (হি. স.) : সকাল হতেই এমন ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই হতবাক সকলে। ঘটনায় এখনও আশঙ্কাজনক দম্পতি, তবে বাবার এমন সিদ্ধান্তে বেঘোরে প্রাণ গেল দুই সন্তানের।
জানা যায়, রাতে ঘটনাটি ঘটে স্বরূপনগরের দক্ষিণ কাজদহ এলাকায়। হাবড়া হাসপাতালে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে নয় বছরের ছেলে হৃদয় দাস ও বছর সাতেকের মেয়ে শ্রুতি দাসের। বাবা উত্তম দাস ও মা কণিকা দাসের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। উত্তম বর্তমানে হাবরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, মা কণিকাকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পরিজনেরা জানান, সপরিবারে অন্যত্র চলে যাবে বলে বাড়ির জায়গা বিক্রি করে দিয়েছিল বছর ৪২-এর উত্তম দাস। তবে উত্তমের ওই জায়গার মধ্যে সরকারি বাড়ি করে অনেকদিন ধরে রয়েছেন তাঁর মা ও এক মানসিক ভারসাম্যহীন দিদি।
বাড়ির জায়গা গোপনে বিক্রি করা হয়ে গেলেও, এবার উত্তমের মায়ের সঙ্গে থাকা দিদি কোথায় যাবেন! তাঁরা ওই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না বলে উত্তমকে জানালে, বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে উত্তমের বিবাদ শুরু হয়।
দু’জনের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়। তখন উত্তম তাঁর মাকে বলেন, ‘তুমি এই জায়গায় থাকো আমরা সপরিবারে মরি।’ এরপর, রাতে ওই দম্পতি-সহ দুই সন্তানকে বিষ খাওয়া অবস্থায় ছটফট করতে দেখেন সেখানকার পরিজন ও এলাকাবাসীরা। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যায়, উত্তম তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে ভাতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপরই, দুই সন্তানের হাবড়া হাসপাতালে মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।
এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক অশান্তি না অর্থনৈতিক কারণ বা অন্য কিছু রয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। মৃত দুই সন্তানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

