কদমতলা পঞ্চায়েতে বড় ধরনের ঘোটালা, প্রতিবাদে বিরোধীদের আন্দোলন ঘোষণা

কদমতলা, ১৮ মে: কদমতলা পঞ্চায়েতে বড় ধরনের ঘোটালা। গরীবদের বঞ্চিত করে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়াম্যান ঘরে তোলেছে পাঁচটি সামাজিক ভাতা।বিরোধীদের আন্দোলন ঘোষণা।  

উত্তর জেলার কদমতলায় ই দানিং কালের সবচেয়ে বৃহৎ কেলেঙ্কারি  প্রকাশ্যে এসেছে। এই কেলেঙ্কারির মূল নায়ক কদমতলা পঞ্চায়েত সমিত সুব্রত দেব। এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার কারণে বিরোধীরা কোমর বেঁধে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। শুধু বিরোধী দল নয় শাসক দলের একটি গোষ্ঠী পঞ্চায়েত সমি তির চেয়ারপারসনের পদ থেকে সুব্রত দেবকে  সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। সামাজিক ভাতা প্রকল্প এলাকার পাঁচজন প্রকৃত গরিবদের বাদ দিয়ে নিজের পরিবারের পাঁচ জনের নামে ইতিমধ্যেই ভাতা তুলে নিয়েছেন।এই কেলেঙ্কারি করতে গিয়ে পঞ্চায়েত সমি তির চেয়ারপারসন তালিকার জালিয়াতি করেছেন।

বৈধ তালিকায় সঞ্জয় দাস পিতা সমর দাস, শ্রীমতি প্রভাবতীনাথ স্বামীর নন্দলাল নাথ, ইসলাম উদ্দিন পিতা খালেক মিয়া, বদরুল হক  পিতা রবিউল রহমান, তাপস ভট্টাচার্য পিতা সুব্রত ভট্টাচার্য এই পাঁচ জনের নাম ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির চার শতাংশ এই পাঁচ জনকে বাদ দিয়ে পাঁচজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ভাতার টাকা লুটে নিয়েছেন। চূড়ান্ত ভাতার তালিকার ১৭১   নম্বরে রয়েছে সুব্রত দাস পিতা সুধাং শু দাস, ১৭০ নম্বরে চেয়ারমে নের স্ত্রী শিলা রানী দেব।১৬৯ নম্বরে চেয়ারম্যানের কনিষ্ঠ ভাতার সত্যব্রত দেব,১৬১ ছোট বোন রঞ্জিতা এবং ১৬০ অনুপ কুমার সেনের নাম রয়েছে।

 সুব্রত বাবু নিজে কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন এবং এলাকায় অবস্থাবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ছোট ভাই সত্যব্রত দেব বৃহৎ ঠিকাদার। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক ভাতা প্রক ল্প সহ বহু অনিয়মের কাহিনী রয়েছে।এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথে প্রায় ভূমি কম্প শুরু হয়েছে।রাজ্য সর কারের চিন্তাধারাকে সমিতির চেয়ারপারসন চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। রাজ্য সরকারের চিন্তাধারা অনুসারে গরীব দুঃস্থ,বৃদ্ধ ,স্বামী পরিত্যা ক্তা দের বাঁচার স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক ভাতা প্রকল্প হাতে নিয়েছে ৷ সে অনুসারে গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক ভাতা প্রকল্পের কাজ ৷ রাজ্য সরকারের এই চিন্তাধারাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামের গরীব দুঃস্থ ভোক্তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে এবং পেয়ে চলছেও ৷ 

সেক্ষেত্রে উল্টা চিত্র ধরা পড়েছে  উত্তর জেলার কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক ভাতা নিয়ে বিরাট দুর্নীতী। বেশ কয়েক মাস আগে কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মুখ্যমন্ত্রী সামা জিক ভাতা প্রকল্পের ভোক্তা দের হিসেব করে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক কদমতলা পঞ্চায়ে তের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোট ২৫ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু দেখা গেছে নথিভূক্ত তালিকায় ২৫ জনের মধ্যে কুড়ি জনের নাম ঠিক থাকলেও বাকি ৫ জনের নাম পরিবর্তন করা হয়। গ্রামের গরীব দুস্থ যোগ্যদের বাদ দি য়ে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ার  নিজের নাম সহ পরিবারের ৫ জন সদস্যের নাম নথিভুক্ত করেছেন। স্বাক্ষর করেছেন  চেয়ারম্যান সুব্রত দেব।

 এখানে প্রশ্ন হল তিনি একজন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়াম্যান অর্থাৎ সরকারি কর্মী হয়ে অর্থাৎ সরকারি ভাতা প্রাপক হয়ে কি করে ওই ৫ জনকে বঞ্চিত করে উনি সহ উনার পরিবারের ৫ জন সদস্যের নাম ওই তালিকায় নথিভুক্ত করেন। চেয়ারম্যানের কেলেঙ্কারি এখানেই শেষ নয়। আরো তথ্য সামনে এসেছে 

 যেমন—

 ১) নিজের আপন ভাই  সজল দেব কে রেশন সোপ পাইয়ে দেওয়া , ২) নিজের এক আত্মীয়ের নামে ত্রিপুরা আরবান ট্রান্সপোর্ট থেকে নতুন বাস নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করা , ২) ব্লকের বিভিন্ন নির্মাণ কাজ শুধু  নিজের ভাই ও মুষ্টিমেয় কিছু সাতগেরদের কমিশনের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ॥৩) কদমতলা হাসপাতালের RKS এর চেয়ারম্যান হওয়ার কারনে হাসপাতালের বিভিন্ন নির্মাণ কাজ নিজের ভাইকে দেওয়া ও অনেক ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ , ৪) তৎসংঙ্গে কদমতলা হাসপাতালে আয়ুষমান ভারতের আওয়তায় ১৮ এর আগের এক কার্যকরতাকে চুক্তিবদ্ধ চাকরি বাতিল করে নিজের এক আপন ভাই এর মেয়ে কে পাইয়ে দেওয়া ॥ ৫) কদমতলা কানপাতলে ভিটা বন্টন নিয়ে চয়ারম্যান সুব্রত দেবের ব্যপক দুর্নীতি বহু চর্চিত ॥৫) SPO চাকরি নিজের এক আপন  বাগিনা কে পাইয়ে দেওয়া , ৬) নিজের ছেলেকে বর্তমানে কোন এক সরকারি প্রজেক্ট এর মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ কাজ পাইয়ে দেওয়া ২)কদমতলায় বিভিন্ন ডিপার্ট্মেন্টের নির্মিয়মান কাজ থেকে পার্টির নাম করে তুল্লা আদায় করে আত্মসাত করার অভিযোগ ॥ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে। শাসকদের একটি অংশ প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে।