সোনামোর আর দুই জনপ্রতিনিধির জমি বিবাদে সমস্যায় দোকানদাররা, সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন দোকানদারেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনামুড়া, ১৭ মে: সোনামুড়া দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ওঠা ১২ কোটির বিনিময়ে জমির জবরদখল সংক্রান্ত ঘটনার কোন  কুল কিনারা ঘটেনি। অসহায় দোকানদাররা চরম অসস্তিতে দিন যাপন করছেন। তাদের দাবি জমির প্রকৃত মালিকরা যেন তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টির কিনারা করেন।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ৯ই মে সোনামুড়া ব্রীজ চৌমুহনী এলাকায় এক কানী ১৫ গন্ডা জায়গাকে নিয়ে সমস্যা ক্রমশই জটিল আকার ধারণ করেছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে দুই জনপ্রতিনিধির বাক বিতন্ডার ভাইরাল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে এখন মূল চর্চার বিষয়। অভিযোগ উঠে আসে, সোনামুড়া মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস এবং নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারপারসন শাহজান মিয়া নাকি ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে জায়গাটি ক্রয় করেছেন। তাই তারা ওই জায়গাতে থাকার দোকানগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।

এদিকে দোকানদারদের অভিযোগ সেই বিষয়ে দোকানদারদের কোনো কিছুই বলেননি জায়গার প্রকৃত মালিক প্রয়াত পুষ্পরানি বর্ধনের ছেলে অজয় বর্ধন সহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ।

এদিকে, জায়গার  প্রকৃত মালিক পুষ্প রানী বর্ধনের ছেলে অজয় বর্ধন অভিযোগ করেন, জায়গাটি এখনো বিক্রি করা হয়নি। বিক্রি করা তো দূরের কথা সে নিয়ে এখনো চিন্তাই  করেননি জায়গার মালিক। এখন মূল কথা হল যদি জায়গার প্রকৃত মালিক জায়গা তাদের কাছে বিক্রি বা না করে থাকেন তাহলে কেনই বা সোনামুড়া মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস এবং ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া ওই জায়গাটি খালি করার জন্য মরিয়া উঠেছেন।

দোকানদারদের আরও অভিযোগ ,জায়গার প্রকৃত মালিক অজয় বর্ধন যদি জায়গাটি দখল মুক্তির জন্য তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে থাকেন তাহলে আমরাও তো মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস এবং ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়ার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলাম যদি এই জায়গা থেকে দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয় তাহলে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু উনারা তা করেননি। বরং আমাদেরকে বার বার দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং ওই জায়গাতে থাকা লিটন ভৌমিক নামে এক মিষ্টির দোকানদার সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বলেন ,যদি ওই জায়গা থেকে  উচ্ছেদ করা হয় তাহলে তারা পরিবার নিয়ে রাস্তায় বসতে হবে।এমনকি,,আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

অনেকের অভিমত, তবে কি এই বহুল চর্চিত জায়গা নিয়ে বিরাট কোন রহস্য লুকিয়ে আছে?  কেনই বা মন্ডল সভাপতি এবং ভাইস চেয়ারম্যান এই দোকানদারদের এখান থেকে উঠিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে? বাজারের কান পাতলে শোনা যায় নাকি মন্ডল সভাপতি এবং নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজান মিয়া নাকি এই জায়গা থেকে বহু টাকা কালেকশন করেছেন। নিজেদের জায়গার মালিক বলেই যাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন তাদেরকে জায়গা পাইয়ে দেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তারাই । এখন দেখার বিষয় এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে কি তদন্ত করা হয় দলীয় তরফে।