নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ১৫ মে: শান্ত শহরকে অশান্ত করছে কৈলাসহরের কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। শহরের বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক ও জাতিগত উসকানি মূলক ঘটনার সাথে জড়িত শিবাজী সেনগুপ্ত, মন্তোষ শব্দকর ও শুভ্রজীৎ দাস কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকার ১৫ নং ওয়ার্ডে দুর্গাপুর এলাকায় সুরজিৎ পালের বাড়ির সামনে গিয়ে ওকে ঘর থেকে ডেকে বের করে বলে অভিযোগ। পূর্ব পরিচয় থাকায় সুরজিৎ পাল ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন শিবাজী সেনগুপ্তের ডাকে। সুরজিৎ পালের বাড়ির গেইটের সামনে দাড়িয়ে কথা বলার সময় শিবাজী সেনগুপ্ত সহ বাকি দুই যুবক কিছু উসকানি মূলক কথাবার্তা বলে। যার প্রতিবাদ করেন সুরজিৎ পাল। আর তাতেই শুরু হয় সুরজিৎ পাল ও শিবাজী সেনগুপ্ত সহ বাকি দুই সঙ্গীর সাথে ধস্তাধস্তি।
এক সময় শিবাজী সেনগুপ্ত সহ বাকি দুইজন সুরজিৎ পালের পিতা মনরঞ্জন পালের ওপরও আক্রমণ শুরু করে। চিৎকার চেচামেচি শুনে সুরজিৎ পালের প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিবাজী সেনগুপ্ত তার দলবল নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে প্রতিবেশীরা আটক করে তাকে উত্তম মধ্যম দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় শুভ্রজীৎ দাস।
তবে শিবাজী সেনগুপ্ত ও তার সঙ্গী মন্তোষ শব্দকরকে আটকে উত্তম মধ্যম দিতে থাকলে এক সময় প্রাণ রক্ষার জন্য স্থানীয় একটি জলাশয়ে ঝাপ দেয় শিবাজী সেনগুপ্ত। ঘটনাস্থল থেকে মুহূর্তের মধ্যে খবর চলে যায় কৈলাসহর থানায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছন পুলিশ অফিসার উজ্বল চৌধুরী। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে প্রথমে এলাকাবাসীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন পুলিশ অফিসার উজ্বল চৌধুরী।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে শিবাজী সেনগুপ্ত ও তার সঙ্গী মন্তোস শব্দকরকে উদ্ধার করে কৈলাসহর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।অতর্কিত হামলায় সুরজিৎ পাল বর্তমানে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
গোটা বিষয় নিয়ে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে সুরজিৎ পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান গতকাল রাতে শিবাজী সহ আরো দুইজন তাকে তার বাড়ির সামনে আক্রমণ করে যার ফলে উনার বা-দিকের চোখে প্রচন্ড আঘাত পান। বর্তমানে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চললেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বহিঃরাজ্যে যেতে হবে বলে জানান।
এছাড়াও তিনি বলেন শিবাজী সেনগুপ্ত সহ যারা তার এবং তার পরিবারের ওপর আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কৈলাসহর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।
এদিকে শিবাজী সেনগুপ্ত যে বাইকটি নিয়ে সুরজিৎ পালের বাড়ির সামনে গিয়েছিলো এলাকাবাসীরা সেই বাইকটি ভাঙচুর চালায়। বর্তমানে সেই বাইকটি কৈলাসহর থানার হেফাজতে রয়েছে। শিবাজী সেনগুপ্তকে কৈলাসহর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করায় কৈলাসহরের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছে বলে জানা যায়। তবে গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহকুমা জুড়ে।
এই ঘটনা ছাড়াও কৈলাসহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে পূর্বেও সে যুক্ত ছিল বলে স্থানীয় সুত্রে খবর।