নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৩ মে: একদিকে আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দখল নেওয়া ও অন্যদিকে উদ্বাস্তু ও প্রজাতিদের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঘরবাড়ি তৈরির প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে পানিসাগরের পেকিছড়া এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ময়দানে নেমেছেন। কিন্তু তাতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষা করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ক্রমশ বাড়ছে।
পানিসাগর পেকিছড়া এলাকায় বন দপ্তরের বনভূমিতে বসতবাড়ি করার জন্য হঠাৎ করে কাঞ্চনপুরে উদ্বাস্ত ৪০ পরিবার বাঙালি শনিবার সন্ধ্যা রাতে ফরেস্টের বনভূমি দখল করে, তাঁবুর ঘর তৈরি করেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পানিসাগর মহকুমা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেন।
খবর পেয়ে বনদপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে এসে উদ্বাস্তু পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি উনারা। শেষ পর্যন্ত রবিবার বিকালে পানিসাগর মহকুমা প্রশাসন উদ্বাস্ত পরিবারগুলির মধ্যে থেকে পাঁচজনের এক প্রতিনিধি দলকে পানিসাগর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে ডাকেন। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা ক্রমেও সমস্যার সমাধান হয়নি ।
সাংবাদিকের মুখোমুখি উদ্বাস্তু পরিবারগুলির পক্ষে এক মহিলা জানিয়েছেন ২০০০ সালে কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন জায়গায় বৈরী গোষ্ঠীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে কাঞ্চনপুর ও পানিসাগর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় অন্যের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতির শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত শনিবার সন্ধ্যা রাতে পানিসাগরের পেকিছড়া এলাকায় ফরেস্টের বনভূমি দখল করে বসতবাড়ি তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে তাবুর ঘর তৈরি করেছেন তারা। প্রশ্নচিহ্নের মুখোমুখি প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
একদিকে কাঞ্চনপুরের মনুমনপই রোডে বিগত ১ বছর ধরে আত্মসমর্পণকারী বৈর গোষ্ঠীদের দ্বারা ফরেস্টের বনভূমি দখল, অন্যদিকে কাঞ্চনপুরের উদ্বাস্তু ৪০ পরিবার নিজ বসতবাড়ি তৈরি করার উদ্দেশ্যে পানিসাগর পেকিছড়া এলাকায় ফরেস্টের বনভূমি দখল করেছে। এখন দেখার বিষয় বাঙালি উদ্বাস্তু পরিবারগুলির জন্য রাজ্য সরকার কি ভূমিকা গ্রহণ করে।