নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৮ মে: স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বালাহার নিয়ে চলেছে মারাত্মক দুর্নীতি। এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা সিংগির বিল এডিসি ভিলেজে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা গেছে, চন্ডিপুর ব্লকের সিঙিরবিল এডিসি ভিলেজের সিঙিরবিল ইংলিশ মিডিয়াম হাইস্কুলে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ও দুর্নীতি কায়েম হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলের সকাল ও দুপুর শাখায় মিড ডে মিলের বালাহার নিয়ে চলছে দুর্নীতি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সূয্যমনি সিনহার কথা অনুযায়ী স্কুলের দুই শাখায় ছাএ সংখ্যা সকালে ১১৪ জন ও দুপুরে ১৫০ জন। কিন্তু স্কুলের জনৈক অভিবাভকের অভিযোগ কোনদিনও সব ছাএছাত্রী স্কুলে উপস্থিত হয়না।অথচ পুরো সংখ্যা উপস্থিত থাকে দেখিয়ে সব মিড ডে মিল সামগ্রী তোলা হয়। অথচ উপস্থিত থাকে প্রতি দিন অর্ধেকের কম।
এছাড়া যে ঘরটি মিডডে মিল খাবার জন্য তৈরি করা হয়েছে সেই ঘরের বারান্দায় বসে ছাএদের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। মিড ডে মিল রুমে প্রধান শিক্ষক চাইছে ক্লাস রুম করতে। এই উদ্যোগ চলছে। এদিকে প্রতি মাসে ২৬৪জন ছাত্র-ছাত্রীর মিড ডে মিল সামগ্রী তুলে ১০০জনকে মিড ডে মিল খায়ানো হয়। বাদ বাকি সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয় প্রতি মাসে। এই অভিযোগ করেন এলাকার অভিভাবকরা।
এছাড়া স্কুলের খেলার মাঠের মাঝ বরাবর ইট বসিয়ে মাঠটিকে ছাএদের খেলার অনুপযোগী করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এখন ছাএদের খেলাধুলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। যদি প্রধান শিক্ষক অনুমতি না দিতেন তবে মাঠে ইট বিছানো হত না। স্কুলে ২৬০জনের মত ছাএছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক আছেন দশ জন। গত মার্চ মাসে সকাল শাখার মিড ডে মিলের ইনচার্জ বদলি হয়ে চলে যান। তার পরিবর্তে আজও কাউকে সকালের ইনচার্জ পদে দায়িত্ব বসানো হয়নি। সরকার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে একজন করে বিদ্যালয় পরিদর্শক বসিয়েছেন। কিন্তু চন্ডিপুর ব্লকে যিনি আছেন তিনি নামকাওয়াস্তে আছেন বলে অভিযোগ অভিভাবক মহলের। তিনি নাকি কোন দায়িত্ব পালন করেন না। ইনচার্জ তথা প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন যাবত বদলিহীন ভাবে কর্মরত থাকার ফলে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা ও দুর্নীতি জাঁকিয়ে বসেছে।জানা যায় আইএস সব কিছু জেনেও নিরব দর্শক। স্কুলের এস .এম.সি.কমিটির মেয়াদহীন। মেয়াদহীন কমিটি এখনও স্কুলের দেখভাল করে বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন লাঠে উঠেছে। একদিকে সরকার যখন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে, সেখানে এই ধরনের একাংশ কর্মীদের বদান্যতায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।