রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

পূর্ব বর্ধমান, ৩ মে (হি.স.): ‘সন্দেশখালি নিয়ে কথা বলেন, আর ঘরের কর্মীর সঙ্গে কেন এমন করলেন?’ রাজ্যপালের নাম না করে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এক কর্মীর করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানে প্রচারসভা থেকে তা নিয়েই মুখ খুললেন মমতা। তাঁর দাবি, এমন ঘটনা এই প্রথমবার ঘটেনি। এমন অভিযোগ, আগেও এসেছে তাঁর কাছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি জানান, নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এগুলি করা হচ্ছে।আরও একজনকে অশুভ পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক দলের তরফে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন রাজ্যপাল।

শুক্রবার বর্ধমানে প্রচার সভায় গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন মমতা। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “সন্দেশখালির কথা বলেন। সন্দেশখালিতে আমি কিছুই ঘটতে দিইনি। জমিজমা নিয়ে অভিযোগ ছিল। আমাদের অফিসাররাই মিটিয়ে দিয়ে এসেছে। আর আপনি কী করছেন? একটা ছোট্ট মেয়ে… রাজভবনে চাকরি করত, তার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন রাজ্যপাল?”

বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতার আগে বর্ধমানে ছিল মোদীর সভা। তাই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতা বলেন, “সেখানে তো থেকে এলেন, একটা কথাও তো বললেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অভিযোগকারিণী মহিলা ভয় পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এরপর রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজভবনের কোনও অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন না। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ, মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের উদ্দেশে মমতা বলেন, “শুনে রাখুন, আমার কাছে আগেও হাজারটা ঘটনা এসেছে। আমি কোনও দিন কোনও কথা বলিনি। কাল মেয়েটির কান্না আমি দেখেছি। ভিডিয়োটা মন দিয়ে দেখেছি।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে বলার আগে ভেবে দেখুন। ঘরে কাজ করে বলে…। এক বার নয় পরপর দুবার শ্লীলতাহানি করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *